বাঘাযতীনে বাসি পরোটা নিয়ে লড়াইয়ে ৫জি বনাম চাঁদ, হেসে খুন নেটিজেনরা

রবিবার সকাল এলেই মনটা কেমন লুচি সাদা আলুর তরকারি বা আলুর দম করে ওঠে তাই না? আর যদি বিছানা বা সোফার আয়েশের মায়া কাটিয়ে বাইরে বেরোনো যায় তাহলে পাড়ার মোড়ের মাথায় থাকা দোকানের কচুরি বা পেটাই পরোটা হলেও মন্দ হয় না। সঙ্গে ছোলার ডাল বা ডিম কষা। আহা, মনে পড়লেই মনটা কেমন খাই খাই করছে। কিন্তু যদি এমন দুটো দোকান পাশাপাশি থাকে তবে? রেষারেষি তো মাস্ট! আর তাদের যদি বিটকেল কিছু নাম হয় সঙ্গে হালকা করে জনপ্রিয়তা মিশে যায় তাহলে তো কথাই নেই! কী বলেন? ঠিক তেমনই কিছু ঘটল এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বাঘা যতীন এলাকায় পর পর দুটো পরোটার দোকান আছে। একটির নাম চাঁদে যাওয়া পরোটা আরেকটি ৫জি পরোটা। দুটোই স্থানীয় ভাবে বেশ বিখ্যাত। তবে দুটোর মধ্যে সম্প্রতি গন্ডগোল লেগেছে। চাঁদে যাওয়া পরোটা বিক্রেতার দাবি ৫জি পরোটা বিক্রেতা নাকি বাসি জিনিস পরদিনের তরকারিতে মেশান সেটা খেলে শরীর খারাপ হবেই। তাঁর খাবার নাকি একদম এ ওয়ান মানের। ফুড ব্লগার তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করে তবে তাঁর পরোটা খেয়ে যে তাঁর শরীর খারাপ হয়েছিল সেটা? উত্তরে তিনি জানান সে মাঝে মধ্যে অমন হয়।

আরও পড়ুন: ‘কী মারাত্মক এক্সপ্রেশন!’, ইউনিফর্ম পরেই ‘প্রাণ ভরিয়ে’-তে নাচ, পোস্ট হতেই ফেসবুকে ভাইরাল এই কিশোর

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি বন্ধুদের মজলিস জমল গীতা দত্তের গানে, ফেসবুকে পোস্ট হতে নিমেষেই ভাইরাল, দেখুন ভিডিয়ো

কিন্তু দুই পরোটা বিক্রেতার মধ্যে সেরা পরোটা কার? খেয়ে দেয়ে দুই ফুড ব্লগার একসঙ্গে জানান ৫জি পরোটা বিক্রেতার বানানো পরোটা বেশি টেস্টি। তবে আর কী এরপর ওই চত্বরে গেলে একদিন দুজনেরই বানানো খাবার চেখে নাহয় নিজেই পরখ করে নেবেন।

কিন্তু নেটিজেনরা কে কী বলছেন? এক ব্যক্তি লেখেন, ‘ঘাম মিশ্রিত সেরা মজার পরোটা।’ আরেকজন লেখেন, ‘রুচি এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের দুর্ভিক্ষ।’ এক নেটিজেনের মতে, ‘রতন দার ৫জি পরোটা জিন্দাবাদ।’ কেউ আবার লেখেন, ‘আমাদের এখানে এদের থেকে অনেক ভালো পরোটা বিক্রি হয়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দেখে ভালো লাগছে পরোটাটা কিন্তু বলছি আমাদের এখানে এদের থেকে বেশি ভালো পরোটা বিক্রি হয়।’