Jadavpur POCSO Act: যাদবপুরের ধৃতদের বিরুদ্ধে লাগু হল পকসো ধারা, নাবালক ছাত্রের মৃত্যুর জের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এরপর এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র মিলিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার সেই ১২জন ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইন লাগু করা হল। মৃত ওই ছাত্রের বয়স ১৮ বছরের নীচে। তার উপর নানা ধরনের হেনস্থার অভিযোগগুলি এবার সামনে আসছে। আর তার জেরেই যুক্ত হল পকসো আইন।

আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ধৃতদের পকসো আদালতে তোলা হবে বলে খবর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার আরও শক্ত ধারা লাগু হল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এতে আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন অভিযুক্তরা।

সূত্রের খবর, পকসো ধারা লাগু করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল শুক্রবার। আলিপুর আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে পকসো ধারা লাগু করা হয়।

এদিকে পুলিশের তদন্তে নানা বিষয় উঠে আসছে। ঘটনার দিন পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাকে যৌনতা নিয়ে নানা কটাক্ষ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এদিকে সেদিন ওই ছাত্র গামছা পরেছিলেন বলে খবর। কিন্তু কেন সেদিন তিনি গামছা পরেছিলেন তা পরিষ্কার নয়। সেদিন অবশ্য় দাবি করা হয়েছিল সেদিন তিনি বার বার বাথরুমে যাচ্ছিলেন। সেকারণে তিনি গামছা পরেছিলেন। তবে তদন্তকারীরা সব দিকটাই খতিয়ে দেখছেন। ওই নাবালককে যৌন হেনস্থা করা হত কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পরেই মৃত ছাত্রের বাবাকে ফোন করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। পরে মৃত ছাত্রের বাবা মা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পুলিশের তদন্তে মোটের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৃতের বাড়ির লোকজন। তবে পুলিশও ঘটনার তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যাদবপুর হস্টেলের ভেতর যাতে অবৈধভাবে কেউ না থাকতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাদবপুরের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য় সম্প্রতি ইসরোর প্রতিনিধিদলও এসেছিলেন। যাদবপুরের জন্য় ঠিক কী ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায় তা খতিয়ে দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সব মিলিয়ে এখনও চর্চার কেন্দ্রে যাদবপুর।

তার মধ্য়েই এবার ঘটনার একমাস পরে আরও কড়া ধারা লাগু হল যাদবপুরের ধৃতদের বিরুদ্ধে। আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন ধৃতরা। তার মধ্যে একাধিক প্রাক্তন ছাত্রও রয়েছেন। তারা কার্যত ঘাঁটি গেড়েছিলেন যাদবপুরের অন্দরেই।