আর বিনামূল্যে চিকিৎসা নয় বিদেশিদের, নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব

বিদেশি নাগরিকরা আর বিনামূল্যে বাংলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে না। এমনই নির্দেশিকা এবার জারি হল। অনেক সময় দেখা যায় বাংলাদেশ–সহ অন্যান্য রাজ্যের নাগরিক চিকিৎসা পরিষেবা নিতে বাংলায় চলে আসছেন। কারণ এটা কাছাকাছি। আর তাঁরা এখানে এসে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তাও আবার বিনামূল্যে। এবার এই প্রবণতায় রাশ টানল রাজ্য সরকার। যাতে আয় বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন এমন পদক্ষেপ হচ্ছে?‌ এদিকে বিদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দফতর। এই গাইডলাইন যে আসছে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এই নির্দেশ জারি করলেন। সুতরাং বিদেশি নাগরিকদের এবার ফেলো কড়ি মাখো তেল নীতিতে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হবে। বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। তাছাড়া বাংলার মানুষের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এখন অনেক বেশি পরিষেবা মিলছে সরকারি হাসপাতালে। সেখানে অন্য দেশ থেকে এখানে এলে বাংলার মানুষজন অবহেলিত হচ্ছেন। সেটা ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ।

নির্দেশিকায় ঠিক কী আছে? এই নির্দেশিকায় বেশ কয়েকটি কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার বিদেশি নাগরিকদের বাংলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেবে ন্যূনতম অর্থের বিনিময়ে। আর জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি বিদেশি রোগীর চিকিৎসা হবে স্বাস্থ্যসাথীর রেট চার্ট মেনে। তাছাড়া বেড ভাড়া, অপারেশন খরচ সবই ওই চার্ট মেনে হবে। এই রেট চার্টের আওতার বাইরে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। সরকারি হাসপাতালের সমস্ত ধরনের পেয়িং কেবিনের নতুন দর বেঁধে দেওয়া হবে। তবে এই নির্দেশিকায় আউটডোরের দু’টাকা টিকিট ও হাসপাতালের বিনামূল্যে ওষুধ নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। কিন্তু সরকারি কাজে থাকা বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। তাঁরা চিকিৎসা পাবে বিনামূল্যেই।

আরও পড়ুন:‌ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পরাজয় কেন?‌ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বাংলায় বিএল সন্তোষ

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই নির্দেশিকায় আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব। স্বাস্থ্যসচিব নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছেন, বিদেশি নাগরিক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেই ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে জানাতে হবে। ফর্ম সি পূরণ করে ভিসা, পাসপোর্ট নথিভুক্ত করতে হবে। প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভারতীয়দের সমান খরচে একই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। আর হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি। তাই এই বিকল্প ভাবনা।