‘‌দুটো দল মিলে জামানত জব্দ, কৈফিয়ত দিতে হবে’‌, বাম–কংগ্রেসকে আক্রমণ কুণালের – TMC Leader: Kunal Ghosh attacks Left

ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে পরাজয় নিয়ে কংগ্রেসের তেমন কোনও তাপ–উত্তাপ নেই। কারণ তারা জানত, প্রার্থী তাদের নয়। তাছাড়া ওখানে কংগ্রেসের ক্ষমতা কম। তাই সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। আর সিপিএম প্রার্থীর জামানত জব্দ হওয়ায় কারণ খুঁজতে বসেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কমরেডরা। সেখানে এখন জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয়ের পরে বাম–কংগ্রেস জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‌ধূপগুড়িতে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপির আসন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বড় বড় কথার পরেও জয় এল। ইন্ডিয়া জোট ঘোষণার পরে এই নির্বাচন। বিরোধীদের সমীকরণের নানা নজির ছিল।’‌

ঠিক কী বলেছেন কুণাল?‌ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় হার নিয়ে আজ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় নেতা বিএল সন্তোষ। আর বাম–কংগ্রেসের জোট প্রার্থীর জামানত জব্দ হওয়ায় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই জয়ের পরে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌জামানত জব্দ হয়েছে কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থীর। বড় বড় কথা বলেছিলেন মহম্মদ সেলিম। মানুষের দেওয়া রায়ের থেকেও এরা শিক্ষা নেয় না। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিল না। এই ভোটেও শিক্ষা হল না। এই সেলিমের সিপিএম মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’‌

বিজেপি নিয়ে কী বলছেন কুণাল?‌ ধূপগুড়ি আসনটি একুশের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। সেটা নানা অঙ্ক কষেও ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। এখানে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরও পরাজয় ঘটল। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌বিজেপির আসন এই রাজ্যে কেড়ে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ত্রিপুরায় সিপিএমের আসন কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে ভোট কাটুয়া হল অধীর চৌধুরী আর মহম্মদ সেলিম। দুটো দল মিলে জামানত জব্দ। কৈফিয়ত দিতে হবে মানুষের কাছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে’‌, পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতি কড়া মেয়র

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ধূপগুড়ির উপনির্বাচনকে সামনে রেখে একসঙ্গে প্রচার করে ছিলেন অধীর–সেলিম জুটি। তখন তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আক্রমণ করেছিলেন তাঁরা। তাই কুণাল ঘোষ আক্রমণ করে বলেন, ‘‌নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা অধীরবাবু। সেলিমের পাশে বসে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে আক্রমণ করেছেন। তখন মনে ছিল না। বামেরা একের পর এক পাপ কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে আপনারা হাত মিলিয়েছেন। আপনারা দালালি করেছেন। দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটে থাকবেন আর এখানে এসে বৃন্দা কারাত সমালোচনা করবেন সেটা হতে পারে না। আপনাদের বিকৃত প্রচার আর রটনা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। তাই আপনাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে।’‌