‘মানুষ চাইলে অসম থেকে বরাক বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিরোধিতা করব না’, বললেন হিমন্ত

বাঙালি অধ্যুষিত বারাক ভ্যালিকে যদি অসমের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় তবে তিনি বিরোধিতা করবেন না। তবে তেমনটা তিনি সেটা চান না। বৃহস্পতিবার বারাক উপত্যকা সফরে গিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমনটা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,’যদি মানুষ আলাদা বারাক ভ্যালি চায় তবে আমরা বিরোধিতা করব কেন? তবে সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কিছু বামপন্থীর ইচ্ছাতে নয়।’ এই বিভাজনে নাগরিকদের মতের উপরই জোর দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হালিয়াকান্দি জেলাগুলিকে নিয়ে পৃথক বরাক উপত্যকার দাবি ওঠে ১৯৬০ সালে। এ বছরই এই বিধানসভার ১৫ টি আসনকে কমিয়ে ১৩ আসন করা হয়।

(পড়তে পারেন। প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি সহ আর কী নিয়ে কথা মোদী -বাইডেনের? শুরু বৈঠক) 

ভারতের নির্বাচন কমিশন জুলাই মাসে আসামের বিধানসভা এবং ১৪টি লোকসভা আসনের পুর্নবিন্যাস চূড়ান্ত করেছে। এই পদক্ষেপ কারণে উপত্যাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধী দল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম দল এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির একাংশের নেতারা আসন সংখ্যা কমানোর বিরোধিতা করেন। বরাক উপত্যকায় ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হয়।

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সীমানা পুনর্বিন্যাসে এলাকার মানুষ যথেষ্ট খুশি। তিনি বলেন,’আমি মানুষের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাচ্ছি এবং তারা আমাকে এখানে আসতে অনুরোধ করছিল। জনগণ এই সীমানা পুনর্বিন্যাসে অত্যন্ত খুশি এবং আমাদের দল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ১৩টির মধ্যে অন্তত ১০টি আসন জিতবে।’ তিনি আরও বলেন,’এলাকার মানুষের উচিত বিচ্ছিন্নতার দাবি না করা।’

(পড়তে পারেন। জি-২০ সম্মেলনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন তাবড় শিল্পীরা, ৭৮ জনের তালিকায় কারা) 

তাঁর সংযোজন, ‘কিছু লোক আমাকে সবসময় একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কথা বলে যারা বিচ্ছেদের কথা বলে। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ এক সঙ্গে থাকতে বিশ্বাসী। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমিও বিচ্ছেদ চাই না। আমাদের সবার একসঙ্গে থাকা উচিত।’