বিধানসভায় ৪৮জন তৃণমূল বিধায়ক অনুপস্থিত কেন?‌ কৈফিয়ত চাইবে পরিষদীয় দল

ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দঁড়িয়েছে ২১৬। তার আগে ছিল ২১৫ জন। কিন্তু তার মধ্যে বাদল অধিবেশনের সময় ৪৮ জন শাসকদলের বিধায়ক বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। ‘বাংলা দিবস’ নির্ধারণের ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে বিধানসভায় উপস্থিত থেকে ভোট দিয়েছেন মাত্র ১৬৭ জন বিধায়ক। বাকি ৪৮ জন বিধায়ক কোথায় গেলেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দলের অভ্যন্তরেই। কেন তাঁরা বিধানসভায় হাজির থাকতে পারলেন না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৎপর হল তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। এমনকী বিষয়টি নিয়ে কৈফিয়ত চাওয়া হবে বলে খবর।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ বিধানসভায় ‘বাংলা দিবস’–এর দিন নিয়ে ভোট পড়ার পরই বিষয়টি নজরে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওইসব বিধায়কদের কৈফিয়ত তলব করা হবে। কথা না শুনলে আগামীদিন দল কড়া পদক্ষেপ করবে। তৃণমূল পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‌শীঘ্রই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকব। ওই বৈঠকে বাংলা দিবস প্রস্তাবের দিন বিধানসভায় অনুপস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিধায়কদের হাজিরা খতিয়ে দেখবে কমিটি।’‌

ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়?‌ গত ১ অগস্ট বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করে দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার ভিতরে বিধায়কদের উপস্থিতি থেকে শুরু করে বক্তব্য রাখা–সহ নানা বিষয় পর্যালোচনা করবে এই কমিটি বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। আর ওই কমিটিতে রাখা হয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং বীরবাহা হাঁসদাকে। তাঁদের চোখেই বিষয়টি ধরা পড়েছে। এবার তাঁরাই বিধায়কদের উপস্থিতির বিষয়টি দেখবেন। আর অনুপস্থিতির কারণ জানবেন।

আরও পড়ুন:‌ কেন দীর্ঘক্ষণ থমকে রইল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?‌ বর্ধমানে সকালে তুলকালাম কাণ্ড

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ মোট ৪৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দানে অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত বিধায়কদের একটি তালিকায় তৈরি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তারপর একে একে ডেকে কারণ জিজ্ঞাসা করা হবে। গত বৃহস্পতিবার দিন বাংলা দিবস নির্ধারণ এবং রাজ্য সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। ওই দিনে সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল বলে মনে করে তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তারপরও তাঁরা অনুপস্থিত!‌ তাই কোন কোন বিধায়ক কেন আসেননি, সেটা কৈফিয়ত তলব করে দেখা হবে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সিদ্ধান্ত হয়, পয়লা বৈশাখ হবে ‘বাংলা দিবস’। আর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল….’ গানটি হবে রাজ্য সঙ্গীত।