Chancellor CV Anand Bose: কাউকে উপাচার্য নিয়োগের আগে গোপনে খোঁজখবর চালান, জানালেন আনন্দ বোস

গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চলছিল। সম্প্রতি সেই সংঘাত একেবারে তুঙ্গে। রাতে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আবার রাজ্যপালকেও কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার অভিযোগ তুলেছে, রাজ্যপাল তথা আচার্য নিজের ইচ্ছেমতো উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন না। তবে রাজ্যপাল কেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে উপাচার্য করছেন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন সে উত্তর আগেই দিয়েছিলেন। এবার তা নিয়ে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: মাঝরাতের পত্র–রহস্যে বাড়ছে গুঞ্জন, রাজ্যপাল কি ব্রাত্যর বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকলেন?‌

একটি সর্বভারতীয়স্তরের সংবাদ মাধ্যমে রাজ্যপাল জানান, শুধুমাত্র ইউজিসির গঠিত সার্চ এবং সিলেকশন কমিটি স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারে। সেই নিয়মে কোনও বদল হয়নি। রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপাল অন্তর্বতী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। রাজ্য সরকার উপাচার্য পদের জন্য অনেকের নাম তাঁর কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে সেই ব্যক্তিদের অন্তর্বতী উপাচার্য হিসেবে তাঁদের বেছে নেওয়া হয়নি বলে জানান রাজ্যপাল।

তিনি জানান, কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের আগে তিনি সেই ব্যক্তির বিষয়ে আগে গোপনে খোঁজখবর নেন। খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন কারও বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে তো কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে তিনি রাজ্যের পাঠানো নামকে সমর্থন করেননি। তিনি আরও জানান, তিনি কাউকে উপাচার্য হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে তার যোগ্যতা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা এই সমস্ত বিষয়গুলি ওপর নজর রাখেন।

আচার্য জানান তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অধ্যাপকদের তালিকার মধ্যে থেকে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। তিনি আরও জানান, অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যকে যে প্রফেসর হতে হবে সেই ধরনের কোনও শর্ত নেই। তিনি আরও জানান, তাঁর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু হাইকোর্ট তাঁর পদক্ষেপকেই সঠিক এবং বৈধ বলে জানিয়েছিল। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার যে অভিযোগ তুলে আসছে সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, আচার্য যে ক্ষমতা লঙ্ঘন করেছেন, তা ঠিক নয়।