Diamod Harbor: ৩৫ লক্ষ টাকার ইলিশ নিলাম করে ৫০ হাজার বলে উল্লেখ, কাঠগড়ায় মৎস্য কর্তা

বাজেয়াপ্ত খোকা ইলিশ নিলামে মৎস্য দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে পথে নামলেন মৎস্যজীবীরা। অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার পথে নেমে মৎস্য দফতরের অধিকর্তা পিয়াল সরদারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তবে পিয়ালবাবুর দাবি, দুর্নীতি নয়, ভুল হয়ে থাকতে পারে।

মৎস্যজীবীদের সংগঠনের নেতা জয়দেব হালদার বলেন, গত ২৯ জুলাই ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ২টি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ খোকা ইলিশ আটক করে মৎস্য দফতর। পরদিন সেই মাছ নিলাম হয় প্রায় ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়। কিন্তু সরকারি খাতায় মাত্র ৫০ হাজার টাকার নিলাম হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। বাকি টাকা সাবাড় করে দিয়েছেন মৎস্য দফতরের অধিকর্তা পিয়াল সরদার। এই মর্মে সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বলে রাখি, ২৩ সেন্টিমিটারের কম দৈর্ঘ্যের ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। অভিযোগ, তার পরেও ছোট জাল দিয়ে দেদার খোকা ইলিশ ধরছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীদের একাংশের দাবি, তৃণমূল নেতাদের সন্তুষ্ট করতে পারলেই খোকা ইলিশ ধরলে আর কোনও পদক্ষেপ করে না প্রশাসন।

অভিযোগ অস্বীকার করে পিয়ালবাবু জানিয়েছেন, ‘মৎস্যজীবীদের একাংশ খোকা ইলিশ ধরায় যুক্ত। তাদের কারসাজি ধরে ফেলেছি বলেই আমার বিরুদ্ধে অবান্তর অভিযোগ আনা হচ্ছে। নিলামের সময় শোরগোলের জন্য মাছের পরিমাণ উল্লেখে কিছু ভুল হয়ে থাকতে পারে। খতিয়ে দেখে তা সংশোধন করে নেওয়া হবে।’

কিন্তু নিষিদ্ধ খোকা ইলিশ নিলাম করে দেওয়া হলে বেআইনিভাবে মাছ ধরা কী করে বন্ধ করা হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।