Kanyashree Form: কন্যাশ্রীর কাজে লাগছে বাইরের কর্মী, ফর্মের টাকা নিয়ে বললেন মালদার প্রধান শিক্ষক

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনার সুবিধার্থে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ১৩-১৮ বছর বয়সের মেয়েদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদনের জন্য বিনামূল্যেই ফর্ম দেওয়া হয়ে থাকে পড়ুয়াদের। অথচ, টাকার বিনিময়ে এই প্রকল্পের ফর্ম দেওয়া হচ্ছে ছাত্রীদের। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার একটি স্কুলের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে শনিবার স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। তাঁদের, অভিযোগ কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম দেওয়ার জন্য ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। যদিও এই টাকা নেওয়ার পিছনে অন্য যুক্তি দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ৭২ লাখেরও বেশি মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে টাকা পেয়েছেন, জানালেন মন্ত্রী

জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ উঠেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফর্ম দেওয়ার নাম করে স্কুলের সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তবে শুধু কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্যই নয়, এর আগে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল দেওয়ার নাম করে প্রধান শিক্ষক ফর্ম পিছু ৬০ টাকা করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, টাকা না দিলে রেজিস্টার খাতায় পড়ুয়াদের নাম তোলা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। ফলে ছাত্রীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই প্রধান শিক্ষককে টাকা দিচ্ছে। যদিও অভিভাবকদের চাপে পড়ে শেষমেষ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন প্রধান শিক্ষক।

টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে কী জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক?

কন্যাশ্রী ফর্মের জন্য কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে? সে প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক কর্মীসংখ্যার অভাবকেই দায়ী করেছেন। তিনি জানান, স্কুলে পর্যাপ্ত স্টাফ নেই। সেই কারণে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এইসব কাজ করানো হয়। এই কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্য এই বিষয়ে বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য তাদেরকে টাকা দিতে হয়। সেই কারণেই পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তবে অভিভাবকদের বিক্ষোভের পর প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, তিনি আর টাকা নেবেন না। যাদের টাকা নেওয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই কাজে দেরি হলে কোনওভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাবে না বলেও অভিভাবকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প হল কন্যাশ্রী। দরিদ্র মেয়েদের সুবিধার্থে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তাসত্ত্বেও কেন এর ফর্ম দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে একটা অভিযোগ দায়ের হওয়া প্রয়োজন।