ফৌজদারি মামলার রয়েছে, হলফনামায় নিজেই জানিয়েছেন ৪০% সাংসদ: রিপোর্ট

৭৬৩ জন সাংসদের মধ্যে ৩০৬ (৪০%) সাংসদ নিজেই জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (নিউ)-এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত রিপোর্টে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।

গত সাধারণ নির্বাচন বা উপ-নিবার্চনে মনোয়ন জমা দেওয়ার সময় হলফনামা জমা দিতে হয়। সেই হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৯৪ (২৫%) সাংসদের বিরুদ্ধে হত্যা, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, নারী নির্যাতনের মতো মামলা-সহ গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে কেরল (৭৩%)। তার পর রয়েছে বিহার, মহারাষ্ট্র (৫৭%) এবং তেলেঙ্গানা (৬০%)। সাংসদরা নিজেই তাদের জমা দেওয়া তথ্যে এ কথা জানিয়েছেন।

বিহারে গুরুতর ফৌজদারি মামলায় (৫0%)-সহ সর্বাধিক সাংসদ রয়েছেন। তার পর রয়েছে তেলেঙ্গানা (৯%),কেরল (১০%), মহারাষ্ট্র (৩৪%) উত্তর প্রদেশ (৩৭%)।

(পড়তে পারেন। পোশাকে পদ্ম ছাপ, সংসদের নতুন ভবনে অধিবেশনে কর্মীদের জামাকাপড়ে চমক)

দলভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, বিজেপির ১৩৯ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৯ (৩৬%), কংগ্রসের ৮১ জন সাংসদের মধ্যে ৪৩(৫৩%), তৃণমূলের ৩৬ জন সাংসদের মধ্যে ১৪ (৩৯%), আরজেডির ৬ সাংসদ, সিপিএমের ৮ সাংসদের মধ্যে ৬ (৭৫%), আপ-এর ১১ জনের মধ্যে ৩ (২৭%), এনসিপির ৮ জন সাংসদ তাদের হলফনামায় নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন।

দাখিল করা হলফনামা অনুসারে, ৩২ জন বর্তমান সাংসদ হত্যার চেষ্টার মামলা (আইপিসি ধারা-৩০৭) জড়িত হিসাবে ঘোষণা করেছেন। ২১ জন বর্তমান সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। ২১ সাংসদের মধ্যে ৪ জন সাংসদ ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার কথা ঘোষণা করেছেন।

লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে সাংসদ প্রতি সম্পদের গড় পরিমাণ ৩৮.৩৩ কোটি টাকা। ফৌজদারি মামলা রয়েছে ঘোষিত সাংসদের গড় সম্পদ ৫০.০৩কোটি টাকা। কোনও ফৌজদারি মামলা নেই এমন সাংসদদের সম্পদের পরিমাণ ৩০.৫০ কোটি টাকা।