ভুল করে থাকলে তদন্ত হোক কিন্তু…-চন্দ্রবাবুর গ্রেফতারি নিয়ে সরব মমতা

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর গ্রেফতারের ঘটনায় তোলপাড় দক্ষিণের রাজনীতি। বহু রাজনৈতিক দল এই গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগেই তাঁর গ্রেফতারিতে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আর এবার চন্দ্রবাবু নাইডুর পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গ্রেফতারিকে ‘প্রতিশোধমূলক আচরণ’ বলে মনে করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ১৪দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, জেলেই কাটবে রাত

সোমবার নবান্নে চন্দ্রবাবু নাইডুর গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চন্দ্রবাবু নাইডুর গ্রেফতারের বিষয়টি আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। যদি কোনও ভুল থাকে তাহলে কথা বলে বা তদন্ত করে বিষয়টি সমাধান করা যায়। সেটা আপনাদের হাতে রয়েছে। কিন্তু প্রতিশোধমূলকভাবে গ্রেফতার করা মোটেও উচিত নয়। হয়তো তা আগামী দিনে বুমেরাং হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতিতে শনিবার চন্দ্রবাবু নাইডুকে গ্রেফতার করে অন্ধ্রপ্রদেশের সিআইডি। টানা ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই বিজয়ওয়াড়ার এসিবি আদালতে পেশ করার পর রবিবার রাতে তাঁকে রাজামুন্দ্রি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। চন্দ্রবাবুর গ্রেফতারের নিন্দা করেছে বহু রাজনৈতিক দল৷

রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সাংসদ এবং দলের মুখপাত্র মনোজ ঝা চন্দ্রবাবুর গ্রেফতারের নিন্দা করেছেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এভাবে গ্রেফতার করা ভারতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের দেখানো পথ অনুসরণ করছে তাঁদের অনুগামীরা। তিনি আরও জানান, চন্দ্রবাবু নাইডু শুধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন না, আধুনিক অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। উল্লেখ্য, ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বিজয়ওয়াড়ার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চন্দ্রবাবুকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪২০ (প্রতারণা এবং অসাধুভাবে সম্পত্তি বিতরণে প্ররোচিত করা) এবং ৪৬৫ (জালিয়াতি) সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে যোগ দেননি চন্দ্রবাবু নাইডু। আবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিও বরাবরই বিজেপির বন্ধু হিসেবেই পরিচিত। তবে অতীতে বিজেপি বিরোধী হিসেবে মমতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি কালীঘাটে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।