সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত্যু রাজমিস্ত্রির, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল আরও ২ জনের

ফের সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে গেল একাধিক প্রাণ। মৃত্যু হল এক রাজমিস্ত্রিসহ ৩ জনের। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানা এলাকার বাড়বৈনান গ্রাম। এই ঘটনায় ২ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নামার ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার তা না জেনে নেমে পড়ায় এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

বাড়বৈনান গ্রামের কয়লাপাড়ায় জয়ন্ত মালিকের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ চলছিল। মঙ্গলবার সকালে ট্যাঙ্কে প্লাস্টার করতে নামেন জয়দেব মাল নামে বাঁকুড়ার বাসিন্দা এক রাজমিস্ত্রি। কিন্তু তার কোনও সাড়া না পেয়ে এর পর একে একে সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন আকাশ সাঁতরা, সুন্দরম মালিক, জগন্নাথ মালিক ও অনুপ মালিক। ট্যাঙ্কে নামতেই জ্ঞান হারান তাঁরা সবাই। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ খবর দেয় দমকলে। দমকল কর্মীরা এসে একে একে পাঁচ জনকে উদ্ধার করে মাধবডি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়। সেখানে জয়দেব মাল (৩৫), আকাশ সাঁতরা (২৭), সুন্দরম মালিক (১৯) কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জগন্নাথ মালিক ও অনুপ মালিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষকরা বলছেন, সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে মাঝেমাঝেই মৃত্যুর খবর আসে। এজন্য দায়ী রাজমিস্ত্রিদের অসচেতনতা। বাতাসের ভারী গ্যাসগুলি স্বাভিক নিয়মে নীচের দিকে নামতে থাকে। এভাবে সেপটিক ট্যাঙ্কে কোনও বর্জ্য পদার্থ না থাকলেও তা কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, মিথেনের মতো বিষাক্ত গ্যাসে ভরে যায়। আর এই সব গ্যাস শরীরকে খুব ধীরে ধীরে অবশ করে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক সময় বুঝতেও পারেন না যে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।