Bhatnagar prize 2022: ছবি আঁকতে ভালোবাসেন ভাটনগর-জয়ী বাসুদেব! যাদবপুরের প্রাক্তনীর গবেষণা ফিজিক্স নিয়ে

প্রায় এক বছর দেরিতে ঘোষিত হল শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কার। ২০২৩ সালে দেওয়া হচ্ছে ২০২২ সালের ভাটনগর পুরষ্কার। তবে এর মধ্যেও রয়েছে খুশির খবর। পুরষ্কার তালিকায় ঝলমল করছে  চার বাঙালি নাম। বাংলার কৃতী সন্তানেরা কাজ করছেন ভারতের নানা প্রান্তে। সম্প্রতি তেমনই টাটা ইন্স্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের অধ্যাপক বাসুদেব দাশগুপ্ত সম্মানিত হলেন এই পুরষ্কারে। পদার্থবিদ্যায় দীর্ঘ গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হল তরুণ বিজ্ঞানীর হাতে।

(আরও পড়ুন: বেলুড়ের দুর্গাপুজো কবে কখন শুরু? প্রকাশিত হল পুজোর নির্ঘণ্ট)

প্রসঙ্গত, ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার স্নাতক স্তরের ছাত্র ছিলেন তিনি। এর পর টিআইএফআর থেকে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করেন তিনি। গবেষণাস্তরের পড়াশোনাও সেখানেই সম্পূর্ণ হয় তাঁর। তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যাই তাঁর গবেষণার প্রধান বিষয়। প্রসঙ্গত, গবেষণায় তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রীয় বিষয় নিউট্রিনো কণা এবং ডার্ক ম্যাটার। সেই নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করে চলেছেন তিনি। এছাড়া ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের অধ্যাপক বাসুদেব। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ফিজিক্যাল জার্নালের সম্পাদকমণ্ডলীতেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর গবেষণার বিষয়ের মধ্যে নিউট্রিনো কণা এবং ডার্ক ম্যাটার ছাড়াও রয়েছে কসমোলজি ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স। প্রসঙ্গত, ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউটের একটি সহযোগী সংস্থার সঙ্গে বর্তমানে তিনি কর্মরত। 

(আরও পড়ুন: ইলিশ থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি! ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে আর কী কী খাওয়ালেন হাসিনা)

গবেষণা ও পদার্থবিদ্যা ছাড়াও তাঁর ভালো লাগার অন্য বেশ কিছু দিকও রয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে সেসব নিয়েও রয়েছে নানা তথ্য। পড়ার বিষয় বাদে খাওয়াদাওয়া, ভ্রমণ ও শিল্পচর্চা তাঁর শখ। দেশবিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো একান্ত প্রিয় শখ। এছাড়াও, ওয়েবসাইটে আপলোড করা ছবি বলছে তাঁর ছবিগ্রাহক হিসেবে দক্ষতা। অ্যাক্রিলিকের উপর পেন্টিং করতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। তেমন বেশ কিছু ছবিও দেখা গেল তাঁর ওয়েবসাইটে। 

প্রসঙ্গত, এই বছর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়েছে সারা দেশের ১২ জন তরুণ বিজ্ঞানীকে। প্রতি বছর এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় ৪৫ বছর বয়সের কম এমন বিজ্ঞানীদের হাতে। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের তরফে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়। এই বছর বাংলা থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। পুরষ্কার হিসেবে সম্মাননাপত্রের সঙ্গে থাকে পাঁচ লাখ অর্থমূল্যের একটি পুরষ্কারও। একই সঙ্গে দেওয়া হয় গবেষণাপত্রে বিশেষ উদ্ধৃতি বা সাইটেশনের স্বীকৃতি।