Bhatnagar prize 2022: মেদিনীপুরের স্কুল থেকে আমেরিকার ল্যাব! অক্লান্ত গবেষণাই দেবব্রতকে এনে দিল ভাটনগর

চার বাঙালির আলোয় এবার উজ্জ্বল শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার। ২০২২ সালের পুরস্কার প্রায় ১ বছর দেরিতে দেওয়া হল। প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর এই পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়। তবে গত বছর সেই ঘোষণা হয়নি। চলতি বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার বাঙালি। 

(আরও পড়ুন: বেলুড়ের দুর্গাপুজো কবে কখন শুরু? প্রকাশিত হল পুজোর নির্ঘণ্ট)

আইআইটি বম্বের অধ্যাপক দেবব্রত বিশ্বাস এই বছর রসায়নে ভাটনগর পুুরষ্কার পেয়েছেন। তাঁর মূল গবেষণা গবেষণা কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণুর পারস্পরিক রাসায়নিক বন্ধন নিয়ে। এছাড়াও, সন্ধিগত মৌলের অনুঘটন ক্ষমতাকে অভিনব উপায়ে কাজে লাগিয়েছেন তাঁর দেখানো পথেই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ। এমনকী কীটনাশক প্রস্তুতিতেও লাগছে সেই রাসায়নিক।

(আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে নজরকাড়া সুনক-পত্নী! কোন কোন সাজে ধরা দিলেন অক্ষতা, দেখুন ছবি)

প্রসঙ্গত, বাংলার বিজ্ঞানী দেবব্রত মাইতি পূর্ব মেদিনীপুরের ছেলে। ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত তমলুকের শ্রীরামপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এর পর  বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে ২০০১ সালে বিএসসি পাশ করেন তিনি। ২০০৩ সালে আইআইটি বম্বে থেকেই এমএসসি পাশ করেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জি কে লাহিড়ী। এর পর সোজা বিদেশ পাড়ি দেন দেবব্রত। আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা পিএইচডি গবেষণা শুরু করেন তিনি। সেখানে কে ডি কারলিনের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি শেষ করেন ২০০৮ সালে। এর পর  ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিট অব টেকনোলজিতে গবেষণা সেরে দুই বছর পোস্ট ডক্টরেটের গবেষণা সেরে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে বম্বে আইআইটিতেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন দেবব্রত। 

ভাটনগর পুরস্কারের আগেও একাধিক পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে তাঁকে।২০১৩ সালে ন্যাশনাল আকাডেমি অব সায়েন্স থেকে তরুণ বিজ্ঞানীর প্লাটিনাম জুবিলি পুরস্কার পান তিনি। এর পর ওই সালেই থেইম কেমিস্ট্রি জার্নাল অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় তাঁকে। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স আকাডেমি থেকে আবার তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে।

প্রসঙ্গত, এই বছর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে সারা দেশের ১২ জন তরুণ বিজ্ঞানীকে। প্রতি বছর এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ৪৫ বছর বয়সের কম এমন বিজ্ঞানীদের হাতে। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের তরফে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই বছর বাংলা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। পুরস্কার হিসেবে সম্মাননাপত্রের সঙ্গে থাকে পাঁচ লাখ অর্থমূল্যের একটি পুরস্কারও। একই সঙ্গে দেওয়া হয় গবেষণাপত্রে বিশেষ উদ্ধৃতি বা সাইটেশনের স্বীকৃতি।