Bhatnagar prize 2022: রহড়ার প্রাক্তনী ভাটনগর-জয়ী দীপ্যমান! পুরষ্কার পেয়ে কী বললেন বাঙালি বিজ্ঞানী

দীর্ঘ গবেষণার ফসল হিসেবে তিনটি পেটেন্ট তাঁর ঝুলিতে।। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার কাজে যুক্ত। বিষয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার নানা তত্ত্ব – ইংরেজিতে ইমিউনোলজি। সম্প্রতি সেই গবেষণার জেরেই শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কারে সম্মানিত করা হলবাঙালি বিজ্ঞানী দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়কে। পুরষ্কার প্রাপ্তির খবর পেয়ে এক্স-এ (আগে যা ছিল টুইটার) তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিন মমতা এক্স-এ লেখেন, বহুদিন পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভাটনগর পুরষ্কার এল। 

(আরও পড়ুন: বেলুড়ের দুর্গাপুজো কবে কখন শুরু? প্রকাশিত হল পুজোর নির্ঘণ্ট)

ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়ের পড়াশোনা রহড়া রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল থেকে। এর পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন। পরে, বায়োটেকনোলজিতে পিএইচডি উপাধি পান সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইন্স্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি থেকে। দ্বিতীয় পিএইচডি করতে অবশ্য দেশের বাইরে পাড়ি দেন দীপ্যমান। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার থেকে ইমিউনোলজি বিষয়ে দ্বিতীয়বার পিএইচডি করেন তিনি। এর পর কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট করে ২০১৩ সালে দেশে ফিরে আসেন। এর পর দেশেই নিজের স্বাধীন গবেষণাগার তৈরি করেন তিনি।

(আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে নজরকাড়া সুনক-পত্নী! কোন কোন সাজে ধরা দিলেন অক্ষতা, দেখুন ছবি)

দীর্ঘ দিন ধরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও নানা বিষয় নিয়ে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি। সামনে তাঁর সুদূর লক্ষ্য। এই দিন সংবাদ মাধ্যমকে সেটা নিয়ে জানান তিনি। সুদূর লক্ষ্যকে নিশানা করে এগোলেও যে স্বীকৃতি আসে, সে কথাই বললেন। তবে এই পুরষ্কারকে স্বীকৃতি হিসেবেই দেখছেন দীপ্যমান। পাশাপাশি জানান, তাঁর গবেষণা যেমন চলছিল, তেমনই চলতে থাকবে। তাঁর গবেষণার বিষয়ের মধ্যে রয়েছে অটোইমিউন ডিজিজ, মেটাবলিক ডিসঅর্ডার (যে কারণে ডায়াবিটিসের মতো রোগ হয়), ডেনড্রাইটিক সেল বায়োলজি, কোভিড-১৯ ও পেটের মাইক্রোবায়োম। আপাতত এই বিষয়গুলি নিয়েই তাঁর গবেষণাগারে নিরলস পরীক্ষা চলছে। সেই গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কারে সম্মানিত করা হল।

প্রসঙ্গত, এই বছর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়েছে সারা দেশের ১২ জন তরুণ বিজ্ঞানীকে। প্রতি বছর এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় ৪৫ বছর বয়সের কম এমন বিজ্ঞানীদের হাতে। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের তরফে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়। এই বছর বাংলা থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। পুরষ্কার হিসেবে সম্মাননাপত্রের সঙ্গে থাকে পাঁচ লাখ অর্থমূল্যের একটি পুরষ্কারও। একই সঙ্গে দেওয়া হয় গবেষণাপত্রে বিশেষ উদ্ধৃতি বা সাইটেশনের স্বীকৃতি।