উৎসবের মরশুমের আগেই চাপ বাড়ল পর্যটকদের, জঙ্গলে প্রবেশে ফি বাড়াল বনদফতর

মাস ঘুরলেই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দুর্গাপুজো। ফলে তখন পর্যটকরা নানা জায়গায় ঘুরতে যান। জঙ্গল সাফারি থেকে এলিফ্যান্ট রাইড করে থাকেন। তাতে বিশেষ আনন্দ উপভোগ করেন পর্যটকরা। কিন্তু এবার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পর্যটকদের প্রবেশের ফি বাড়িয়ে দিল বন দফতর। ফলে উৎসবের মরশুমে বাড়তি কড়ি গুণতে হবে পর্যটকদের। ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। সেখানেই বাড়তি খরচের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কতটা বাড়ল ভ্রমণ ফি?‌ বন দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পর্যটকদের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশের ফি গড়ে ৩০–৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া ফি বাড়ানো হয়েছে এলিফ্যান্ট রাইড এবং গাইড ভাড়ায়। এমনকী আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে নয়া নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে বনদফতর। ওই নয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবার থেকে সিঙ্গালিলা বনাঞ্চলের ভিতরে সান্দাকফুতে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ২০০ টাকা করে ফি গুণতে হবে। সুতরাং উৎসবের মুখে পর্যটকদের পকেটে বাড়তি চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার এই চাপ সহ্য করে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে কিনা।

আর কোথায় কেমন ফি হয়েছে?‌ বন দফতর সূত্রে খবর, জঙ্গল সাফারি থেকে শুরু করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ভ্রমণে ফি বাড়ছে। নেওড়া, গরুমারা, চাপরামারি ও জলদাপাড়ায় যেতে মাথা পিছু ২০০ টাকা করে ফি গুণতে হবে। এখানেই শেষ নয়, এলিফ্যান্ট সাফারিতে করতে গেলে জলদাপাড়ায় এক হাজার টাকা দিতে হবে। আর গরুমারায় এসব করতে ১২০০ টাকা দিতে হবে। সুতরাং পর্যটকদের উৎসবের মুখে পকেটে চাপ বাড়ল বৈকি। তাছাড়া গাইডের ক্ষেত্রেও গড়ে একশো টাকা করে ফি বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৩০০ টাকা। এই নয়া ফি নিয়ে কিছুটা উষ্মাপ্রকাশ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কারণ বাড়তি টাকা চাইলে কেউ দিতে চায় না। এমনকী ঘোরার ক্ষেত্রেও কাটছাট করেন।

আরও পড়ুন:‌ নয়া উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী, চালু করলেন ‘‌সরাসরি বিধায়ক’‌ কর্মসূচি

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এমনিতেই সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে। সেখানে মন ভাল করতে ভ্রমণে এসেও যদি বাড়তি টাকার চাপ নিতে হয় তাতে কার ভাল লাগে। এই বিষয়টি জানতে পারলে কিছু পর্যটক পিছিয়ে যাবেন বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এই ফি বাড়ানোর ক্ষেত্রে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি বন দফতর। ফি বাড়লেও জঙ্গলে বেড়াতে গেলে পর্যটকদের ন্যূনতম পরিষেবা মেলে না। সে বিষয়ে বন দফতর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেই অভিযোগ। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘নয়া ফি বাড়ানোর আগে পর্যটন দফতর এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করার উচিত ছিল। পর্যটকেরাই জঙ্গলে বেড়াতে যান। পরিষেবা নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলি জানাতে পারতাম।’