‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ কর্মসূচি বিজেপির, সেখানে কি থাকছেন বাংলার রাজ্যপাল?

বাংলার রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এই অভিযোগ বারবার তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার বিজেপি রাজ্যপালকে কার্যত দলীয় নেতার পদে বসিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ বিজেপির দলীয় কর্মসূচি ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচির একটি পর্বে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিত থাকার কথা বলে সূত্রের খবর। এমন কথা এখন চাউর হয়ে গিয়েছে। দলীয় কর্মীদের নাকি এমন কথা জানানোও হয়েছে। এখন সেটা নিয়েই সরব বিরোধীরা। তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি যে কর্মসূচি নিয়েছে তা থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেও শোনা যাচ্ছে।

এদিকে বিজেপি বরাবরই দেশাত্মবোধকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। আসলে এভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল। তাই ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ বিতর্কেও স্বদেশী এবং বিদেশি কথা তুলে ধরা হয়েছে। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এবার নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর বলেন, ‘‌আমরা তো আগেই বারবার বলেছি, রাজ্যপাল পদকে বিজেপি দলীয় নেতার পদ হিসাবে ব্যবহার করছে। ওরা দলীয় চিঠিতেই এমন কথা স্বীকার করে নিচ্ছে।’‌ যদিও বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার একটি দৈনিক সংবাদপত্রকে বলেন, ‘‌ওই কর্মসূচি পুরোপুরি দলীয় নয়। রাজ্যপাল রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে চাইলে থাকতেই পারেন। মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে পারেন।’‌

অন্যদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই বিজেপি নতুন নানা কর্মসূচি নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে। তার মধ্যে একটি হল— ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’। এই কর্মসূচি তারা গ্রামবাংলায় নিয়ে যেতে চান। তবে গ্রামীণ, ব্লক, রাজ্য এবং জাতীয় এই চারটি ধাপে কর্মসূচি হবে বলে খবর। গ্রামের প্রত্যেক বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করে তা একটি কলসে ভরে রাজ্য থেকে নয়াদিল্লিতে পাঠানো হবে। এই বিশেষ অনুষ্ঠানেই রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা বা সাংসদ থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। যদিও এমন কর্মসূচিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না বলেই খবর।

আরও পড়ুন:‌ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, দুবাই বিমানবন্দরে কী নিয়ে আলোচনা?‌

ঠিক কী লেখা হয়েছে চিঠিতে?‌ বিজেপির দলীয় চিঠিতে লেখা হয়েছে, এই কর্মসূচি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তৈরি করেছেন। আর তাতেই শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বা সাংসদ বা বিরোধী দলনেতারা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁরা থাকলে এটা কেমন করে অরাজনৈতিক কর্মসূচি হল?‌ উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যপাল কি এই কর্মসূচিতে থাকছেন? তিনি তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি থাকতে পারেন না। হয়তো তিনি থাকবেনও না। কিন্তু তাঁকে রাখার যে প্রচেষ্টা সেটা নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।