Beaten over Puja donation: পুজোর অনুদান হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় গ্রামবাসীদের মারধরের অভিযোগ

দুর্গাপুজো উপলক্ষে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। এ বছর অনুদান আরও ১০০০০ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। আর তার প্রতিবাদ করার জন্য স্থানীয়দের মারধর করার অভিযোগ উঠল কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী যুবকদের মারে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার ১২ নম্বর বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় বড়ুয়া গ্রামে। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম গৌতম দাস। অভিযুক্ত যুবকরা তৃণমূল করে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যাদের মারধর করা হয়েছে তারাও তৃণমূলের সদস্য বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ছাগল চুরি সন্দেহে দলিত যুবককে বেঁধে ঝুলিয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

এই ঘটনার পরেই আক্রান্তরা রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি বারোয়ারি পুজো হয়ে আসছে। সেটি ক্লাবের পুজো নয়। কিন্তু এলাকার কিছু যুবক ওই পুজোকে ক্লাবের পুজো হিসেবে দেখিয়ে অনুদান হাতিয়ে নিতে চাইছ। তাই নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্তরা প্রথমে বিজেপি করলেও পরে তারা তৃণমূলে যোগ দেয়। গত বছরও একইভাবে দুর্গাপুজোর হিসেব ঠিকমতো না দেওয়ায় তাদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বিরোধ বেঁধেছিল। এর আগেও ওই যুবকেরা বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ। সোমবার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা প্রতিবাদ জানালে প্রথমে তাদের মারধর করে ওই যুবকেরা। পরে আরও কয়েকজন গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। অভিযোগ, ওই যুবকেরা এলাকায় দাদাগিরি করে বেড়ায়। এর আগেও তারা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে মারধর করেছে। গত বছর পুজোকে কেন্দ্র করে তারা মারধর করেছিল। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু বছর ধরে চলে আসা বারোয়ারি পুজোকে তারা হাতিয়ে নিতে চাইছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজেও যুবকেরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।