Firhad on Abhishek: অভিষেককে ‘বাঘের বাচ্চা’ বললেন ফিরহাদ, কেষ্টকে বলেছিলেন ‘বাঘ’, তৃণমূল হল এভারেস্ট!

অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে বাঘ বলেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বাঘের বাচ্চা বলে উল্লেখ করলেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। ১১টা ৩৪ মিনিটে তিনি গিয়েছিলেন ইডির দফতরে। এবার এই তলব নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ইন্ডিয়া জোটে যাতে অভিষেক যেতে না পারে সেজন্য় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ধন্যবাদ জানাই অভিষেককে। বাঘের বাচ্চার মতো পরোয়া করেনি নোটিশকে। একটা চিঠি দিয়ে বলতেই পারত মিটিং আছে। কিন্তু বলেছে, না আই উইল ফেস। অন্যায়ভাবে ডাকা আর নিরপরাধ মানুষদের হ্য়ারাসমেন্ট করা সমানভাবে অন্যায়। এজেন্সিদের আমরা সম্মান করি। ইনস্টিটিউশনগুলিকে সম্মান করি। ভারতের এজেন্সিগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে। বার বার বলছি এই এজেন্সিগুলিতে বেস্ট অফিসাররা থাকেন। তাদের কাজ অনেক বড়। ভারত থেকে যে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে তা দেখা। একটা মস্তিস্কপ্রসূত অন্যায় , যে অন্যায়ের হাত পা নেই, তার পেছনে ছোটাোনো হচ্ছে। কেন নীরব মোদী, মেহুল চেস্কি, বিজয় মালিয়ার টাকা ফেরৎ আসছে না? তার তদন্ত কোন এজেন্সি করবে? টিভিতে নিউজ আসার জন্য় আর তৃণমূলকে বদনাম করা এটা বোকা বোকা কাজ। তৃণমূল এভারেস্ট পাহাড়ের মতো। নোংরা টোংরা যা পড়বে তা সরিয়ে সাদা হয়ে থাকবে। কারণ তৃণমূলের উপর যিনি বসে আছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন ফিরহাদ।

তবে এর আগে তিনি কেষ্ট মণ্ডলকে নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘বনের বাঘ না থাকলে শিয়ালরা লাফালাফি করে। বাঘ ফিরে এলে শিয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছো। সারাজীবন আটকে রাখতে পারবে না। বাঘ বেরিয়ে এলে শিয়ালরা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে।’

তবে কেষ্ট প্রসঙ্গে ফিরহাদের বক্তব্যকে ঘিরে তীব্র কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর আগে বলেছিলেন, ফিরহাদ হাকিমের ভাষায় কেউ বলছেন বাঘ। আমি বলছি একটা চতুর শেয়াল। চতুর শেয়াল ধরা পড়েছে। বীরভূমের মাটিতে রাষ্ট্রপতি ছিলেন।দুজন নোবেল প্রাপক এখানে ছিলেন। সেই জায়গায় চতুর শেয়াল রাজ করছিলেন। সেই রাজের ধ্বংস দেখতে চাই। অনুব্রত মণ্ডল একজন চতুর শেয়াল। বীরভূমের মানুষকে বোকা বানিয়ে তিনি বাঘ বনেছিলেন।

তিনি বলেন, তৃণমূলকে আমরা ভয় করি না। চতুর শেয়াল যখন জেলে আছেন তখন বীরভূমের মানুষ জবাব দিয়ে দেবেন। ভাইপো বেঁচে আছেন, সব নেতাদের বাড়িতে ঝামেলা হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম চতুর শেয়ালকে বাঘ বানিয়ে দিয়েছিলেন।