Morocco death toll update: তছনছ মরক্কোয় মৃত্যু ছাড়াল ১০০০, আহত বহু! বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা

শুক্রবার গভীর রাতের ভূমিকম্প তছনছ মরক্কো। সেখানে মৃতের সংখ্যা এবার হাজার ছাড়িয়ে গেল। মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ১০৩৭ জন মারা গিয়েছেন । আহতের সংখ্যা অন্তত ১২০০ জন। আহতদের মধ্যে ৭২১ জনের অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা।

(আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক দিল্লি ঘোষণাপত্রের নেপথ্যে মোদীর নেতৃত্ব, বলছেন ভারতের জি২০ শেরপা)

সংবাদমাধ্যম এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর আফ্রিকার ওই দেশে এর আগে এত প্রবল ভূমিকম্প হয়নি । ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক বিল ম্যাকগুইর সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, মরক্কোয় ভূমিকম্প খুব একটা হয় না। তাই বাড়িগুলিও অত পোক্ত ভাবে তৈরি নয়। হতাহতের সংখ্যা সে কারণে এত বেশি। মরক্কোর রাজা চতুর্থ মহম্মদ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন।

(আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে সেলফি বাইডেন-হাসিনার! কূটনৈতিক সম্পর্কে কি বদলের ইঙ্গিত?)

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্প হয় সেখানে। ১৯ মিনিট পর হয় আর একটি আফটারশক হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ৬.৮। আমেরিকার ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল পর্যটন শহর মারাক্কেশ থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হাই অ্যাটলাস পর্বতে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে সেই কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যন্ত হাই অ্যাটলাস পর্বতে ভূমিকম্পের কেন্দ্র‌ হলেও প্রভাব পড়েছে বহু দূর পর্যন্ত। কম্পনের ফলে ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাক্কেশ শহর। কম্পনের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী রাবাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। কাসাব্লাঙ্কা, ইসাউইরা শহরেও কম্পন হয় ওই দিন।

প্রসঙ্গত, তীব্র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাক্কেশের মেদিনা এলাকা। এখানে রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্তম্ভ, সৌধ। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পে তা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনেস্কোর তরফে মেদিনাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দেওয়া হয়েছিল। এর আগে মরক্কোয় শেষ বার বড়সড় ভূমিকম্প হয় ২০০৪ সালে। ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। সেবার কেন্দ্র ছিল বন্দর শহর আল হোসেইমা। মৃতের সংখ্যা ছাড়ায় ৬০০। মরক্কোর ইতিহাসে সব থেকে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প ঘটে ১৯৬০ সালে। দেশের পশ্চিম দিকের শহর আগাদিরে ছিল কম্পনের কেন্দ্র। গত শতকের ওই কম্পনে মারা গিয়েছিলেন অন্তত ১২ হাজার মানুষ। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজ, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল মাক্রো, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।