Bihar Boat tragedy: ‘দুজনে বাঁচিয়ে ভাই আর ফিরল না!’ বিহারে ভয়াবহ নৌকাডুবি, তলিয়ে গেল ছাত্রছাত্রীরাও

অবিনাশ কুমার

বিহারের বাগমতী নদীতে ভয়াবহ নৌকাডুবি। স্কুল পড়ুয়া কয়েকজনও ছিল নৌকায়। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায় নদীতে। অন্তত ১২জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্য়ে ৬জন ছাত্রীও রয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে ১৮জন সাঁতার কেটে পাড়ে উঠেছে। প্রায় ৩৩জন নৌকায় ছিল বলে খবর।

গোবিন্দর সাহানি নামে এক তরুণ তার ১৭ বছরের ভাই পিন্টুতে খুঁজছিল। সে জানিয়েছে, ভাই দুজনকে বাঁচিয়েছে। এরপর ফের জলে নামতে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় স্রোতে ভেসে যায়। নৌকায় নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকজন ছিল। স্থানীয় কয়েকজনও ছিল। সবাই ডুবে গিয়েছে। কীভাবে হল দুর্ঘটনা? 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগমতী নদী আসলে আসছে নেপাল থেকে। প্রচন্ড স্রোত। ৫০ মিটার চওড়া। দুপাড়ে দড়ি বাঁধা থাকে। সেটা ধরেই নৌকাগুলো যায়। কিন্তু সেই দড়ি কোনওভাবে ছিঁড়ে গিয়েছিল। এরপরই নৌকাটি ডুবতে শুরু করে। সেই ছোট্ট নৌকাতে গাদাগাদি করে অনেকেই ছিলেন। কয়েকজন সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও বাকিরা উঠতে পারেননি। 

এদিকে  ২০০২ সালেও একই ভাবে নৌকাডুবি হয়েছিল।  সেই সময় একই পরিবারের ৫জনের মৃত্যু হয়েছিল নৌকাডুবিতে। এই গ্রামটা মজফ্ফরপুর জেলার মধ্য়ে পড়ছে। ভাগমতা গ্রামে মোটামুটি হাজার দুয়েক লোকজন থাকেন। এটা শহর থেকে ৪০ কিমি দূরে রয়েছে।

এদিকে এদিনের নৌকাডুবির পর থেকেই প্রশাসনের উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এখানে ব্রিজ তৈরির ব্যাপারে বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। এটা যেন হওয়ারই ছিল। নদীর দুপাড়ে এত মানুষ থাকেন। তারপরেও ব্রিজ হল না। আর রাজনীতির লোকজন শুধু আসেন ভোটের সময়। গত ২০-২২ বছর ধরে ব্রিজের দাবি জানাচ্ছি। 

স্থানীয়দের দাবি, বর্ষার সময় নদীর স্রোত অত্যন্ত বেড়ে যায়। সেই সময় নৌকা চালানো খুব কঠিন। সবাই জানেন। কিন্তু সরকার কিচ্ছু করে না। 

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পরের যে ব্রিজটা আছে সেটা প্রায় দেড় কিমি দূরে। কিন্তু এভাবে নদী পেরলে সময় কিছুটা বাঁচে। 

আরজেডি বিধায়ক নিরঞ্জন রায় জানিয়েছেন, এখানে ব্রিজ করার ব্যাপারটি দীর্ঘদিনের দাবি। আমিও এই দাবি কয়েকবার তুলেছি।