Opposition Alliance: অভিষেকের পাশে ‘ইন্ডিয়া’ জোট, ভিন্ন সুর বজায় রাখলেন সেলিম-অধীর

ইডি-র তলব প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে জোট ‘ইন্ডিয়া’। জোটের সমন্বয় কমিটির তরফে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। সেই বিবৃতিতে ইডি-র তলবকে ‘বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলা হয়েছে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে ভিন্ন সুর প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের।

বুধবার সমন্বয় কমিটির বৈঠকের পর কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা কেসি বেণুগোপাল একটি বিবৃতি পাঠ করেন। সেই বিবৃতির গোড়াতেই বলা হয়,’তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠক যোগ দিতে পারেননি, কারণ তাঁকে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে। যা কিনা বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতির ফল।’

এই বৈঠকের আগে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, বৈঠকে অভিষেক জন্য একটি আসন ফাঁকা রাখা হবে। উদ্দেশ্য বার্তা দেওয়া, কী ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলির ইন্ডিয়া-র সদস্যদের হেনস্থা করছে।

(পড়তে পারেন। পর্দার পেছনে অন্য কিছু! সংসদের বিশেষ অধিবেশন, মতলবটা কী? বিস্ফোরক কংগ্রেস)

(পড়তে পারেন। জি২০ পুস্তিকায় আকবর প্রশস্তি! কেন্দ্রের ‘মন কী বাত’ জানতে চাইলেন কপিল সিব্বল

যদিও সিপিএম এই সমন্বয় কমিটিতে এখনও কোনও প্রতিনিধি দিতে পারেনি। কারণ, হিসাবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বঙ্গ সিসিএমের চাপের কথাই বলছেন। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকে ‘ইন্ডিয়া’ জোট হওয়ার আগে এবং পরেও জোটের শরিক, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল বিরুদ্ধে সুর চড়া রেখেছে। অভিষেককে তলব প্রসঙ্গেও তার অন্যথা করেনি সেলিম। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমন্বয় কমিটি যদি কারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে তবে বিজেপি হাতে তাস তুলে দেওয়া হবে। এ নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

আসন ফাঁকা রাখা প্রসঙ্গেও সাংবাদমাধ্যমকে সেলিম বলেন, আসন ফাঁকা থাকবে, না কি পাদুকা রাখা থাকবে, তা রাউতরা বলতে পারবেন। জেলে গেলে পাকাপাকি ভাবে আসন ফাঁকা থাকবে।

অধীর অবশ্য সেভাবে সুর চড়া না করলেও এই তলব প্রসঙ্গে বলেন,’আমরা জানি এটা আদালতের হস্তক্ষেপে হচ্ছে। এই তদন্তের দাবি পশ্চিমবঙ্গের নিপীড়িত বঞ্চিত মানুষের। আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত হোক, চোরদের ধরা হোক, দুনীর্তিগ্রস্তদের বিচার হোক। আমরা পশ্চিমবঙ্গে যারা কংগ্রেস করি আমরা তা জানি। আমরা সরছি।’

অর্থাৎ ‘ইন্ডিয়া’ জোট শরিক তৃণমূল প্রসঙ্গে রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেসের অবস্থা আপাতত একই থাকছে। তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে, লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা কী পশ্চিমবঙ্গে অধরাই থেকে যাবে?