University News: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনা সভায় হাজির উপাচার্যদের একাংশ, নিয়োগকাণ্ডে নয়া মোড়!

এবার উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সংঘাত কি এবার অন্য মোড় নিল? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মূলত শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনামূলক একটি অনুষ্ঠান ছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল নতুন নিয়োজিত উপাচার্যদের একাংশ।

এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সম্প্রতি রেজিস্ট্রারদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেদিন রেজিস্ট্রারদের মধ্য়ে কয়েকজন সেই মিটিংয়ে আসেননি। তবে তাঁরা যাতে এই মিটিংয়ে না আসেন সেব্যাপারে আগেই বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আর এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে চলে এলেন একাধিক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রাররা। এমনকী নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতর তাঁদের উপর যেভাবে চাপ তৈরি করছে তা নিয়েও তাঁরা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নালিশ করতে পারেন বলে খবর। তবে অস্থায়ী উপাচার্যরা ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন শিক্ষাবিদ হিসাবেই তাঁরা এসেছেন। তবে সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের একান্ত বৈঠকও হতে পারে।

এদিনের অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাবা সাহেব আম্বেদকর শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত ব্যাপারে বা এই টানাপোড়েন নিয়ে তাঁদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কী কথা হয়েছে সেব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।

তবে এদিনের এই উপস্থিতিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যপাল সরাসরি যেভাবে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়েগে হস্তক্ষেপ করেছেন তা কার্যত নজিরবিহীন। এরপর এনিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত একেবারে চরমে যায়। একাধিক তৃণমূল বিধায়ক এনিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন।এমনকী খোদ শিক্ষামন্ত্রীও এনিয়ে বিশেষ মন্তব্য করেছিলেন।

এরপর প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে তবে কার রাশ থাকছে? রাজ্যের নাকি রাজ্যপালের? এবার থেকে নয়া প্রশ্ন উঠে গেল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে কার রাশ থাকছে? রাজ্যের নাকি কেন্দ্রের?

এবার এই নিয়োগকে ঘিরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী কতটা রাজ্যপালের পাশে থাকেন সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে শিক্ষাদফতর। সব মিলিয়ে বলাই যায় এবার কি তবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়েও পরোক্ষে নাক গলাবে কেন্দ্র?