গুলি বোমায় মৃত্যুতে করাতে হবে এক্স রে, নয়া নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

এবার থেকে গুলি বা বোমায় কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে সে ক্ষেত্রে মৃতদেহের এক্স রে করতে হবে। এর পাশাপাশি মৃতের বিভিন্ন অঙ্গের বায়োপসি বা হিস্টোপ্যাথলজিও করতে হবে। সাধারণত আচমকা গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছিল? নাকি পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে? সে বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়ার জন্য এক্স রে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে সেই সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এ বিষয়ে নির্দেশিকা পৌঁছে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে সেই নির্দেশিকা কতটা কার্যকর করা সম্ভব হবে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 

আরও পড়ুন: রাস্তা থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর রক্তাক্ত দেহ, আটক স্বামী

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আবার অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এই ব্যবস্থা নেই। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এক্স রে করার সুযোগ থাকলেও নিয়ম কতটা মানা হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্স রে করলে বোঝা সম্ভব গুলিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কতটা গভীরে ক্ষত ছিল বা কটা গুলি লেগেছিল। আবার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করলেও তার মোটিভ বোঝা সম্ভব। যা তদন্তকারীদের সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্স রে করলে বোঝা যায় দেহে কটা গুলি লেগেছে বা বোমা আঘাত কতটা গুরুতর ছিল। দ্রুত সেই তথ্য তদন্তকারীরা জানতে পারলে তদন্তে সুবিধা হয়। সেইমতো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশের তদন্তে সুবিধা হয়। আবার বিষক্রিয়ায় কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে কী ধরনের বিষ খেয়ে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে? ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তা জানা সম্ভব হয়না। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে তদন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তার জন্য শরীরের বিভিন্ন অংশের বায়োপসি বা হিস্টোপ্যাথলজি করতে বলা হয়েছে। এতে বোঝা যাবে মৃতের শরীরে আরও কী সমস্যা ছিল। 

যদিও হিস্টোপ্যাথলজি করার সুবিধা থাকা হাসপাতালের সংখ্যা খুব কম। আরজিকর হাসপাতালে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার রয়েছে। এই সেন্টারটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত। এই অবস্থায় আরজিকরে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে আরও আধুনিকীকরণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছ স্বাস্থ্য ভবন। যারমধ্যে রয়েছে ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অন্যান্য পদ। পুলিশি তদন্ত এবং গবেষণার স্বার্থে এই ইনফরমেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।