নারদকাণ্ডে দোষী প্রমাণিত হইনি, অভিষেকের মন্তব্যে পালটা জবাব ফিরহাদের

আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু দোষী প্রমাণিত হইনি। নারদকাণ্ড নিয়ে প্রশ্নের মুখে কার্যত রক্ষণাত্মক রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলছেন, সিবিআই সবাইকে ডাকুক। তখন কার্যত নিজের হয়ে সাফাই গাইতে শোনা গেল ফিরহাদকে।

নারদকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে শুক্রবার ফিরহাদকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে ফিরহাদ বলেন, আমাকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু দোষী প্রমাণিত হইনি। তার পরেও আমাকে গ্রেফতার করেছিল। গত বুধবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির জেরা সামলে বেরিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। তবে শুরুটা হোক শুভেন্দুকে দিয়ে।’ অভিষেকের এই মন্তব্যে দলের অন্দরেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

তৃণমূলের একাংশে প্রশ্ন উঠছে, নিজের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে গিয়ে কি দলের বর্ষীয়ান নেতাদের বলি দিতে চাইছেন অভিষেক? কারণ নারদকাণ্ডে নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, মদন মিত্র, মুকুল রায়ের।

বিজেপির দাবি, নারদে শুভেন্দুসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারি চেয়ে এক ঢিলে ২ পাখি মারার পরিকল্পনা করেছেন অভিষেক। তাতে তাঁর পথের কাঁটা শুভেন্দুকে যেমন উপড়ে ফেলা যাবে তেমনই দলের অন্দরে তাঁর সর্বময়তার ক্ষেত্রে বাধা ফিরহাদকেও রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে পারবেন তিনি। এই অবস্থায় ‘দোষী প্রমাণিত হইনি’ বলে ফিরহাদ অভিষেককেই সুচতুর জবাব দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বলে রাখি, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েলকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সিবিআই। জবাবে ম্যাথু জানিয়েছেন, ট্রেনে আসার মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর নেই। বিমানে যেতে হলে ভাড়া দিতে হবে সিবিআইকেই। আগাম ভাড়া দিলে তবেই তিনি যাবেন। নইলে কেরলে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোনও ঠিকানায় তাঁকে জেরা করতে পারে সিবিআই।