Special Parliament Session: বিশেষ অধিবেশনে শুধুই সরকারের এজেন্ডা! তিন তিরে শান দিচ্ছে বিরোধীরা

সোমবার থেকে সংসদের পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এই পাঁচদিনে সরকার পক্ষের এজেন্ডা কী তা স্পষ্ট বিরোধীদের কাছে। তবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ইতিমধ্যে ঠিক করে নিয়েছে তারা কী আলোচনা। আদানির শেয়ারে ‘কারচুপি’, বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট এই পাঁচদিন সরগরম চায় সংসদের অধিবেশন।

বিরোধীদের কেউ কেউ মনে করছেন সরকার শেষ মূহূর্তে এজেন্ডা বদলে দিতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, কোন ভাবেই এই পাঁচদিনে শুধুমাত্র সরকারের নিজস্ব এজেন্ডা পাশ করাতে দেবে না। ইতিমধ্যেই শাসকদল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীল সাংসদ হুইপ জারি করে পাঁচদিন সংসদ উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন,’বিশেষ অধিবেশনের এডেন্ডা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কেন আমি আমি এ কথা বলছি, কারণ এজেন্ডার তালিকার তলায় তাঁরা লিখে রেখেছেন এই তালিকা এখনও সম্পূর্ণ নয়। শেষ মুহূর্তে কিছু এজেন্ডা ষোগ করার মতো তারা নোংরা কৌশল নিতে পারে।’

অধিবেশনের প্রথমদিন সংসদ বসবে পুরনো বাড়িতে। আলোচনা হবে ভারতীয় সংসদের ৭৫ বছর নিয়ে। তারপর নতুন বাড়িতে চলবে সংসদের বাকি অধিবেশন। স্থায়ী কমিটিকে বাইপাস করার প্রবণতা, তাড়াহুড়ো করে বিল পেশ, প্রধান প্রধান ইস্যুগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাখাতে অনীহা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোট।

এক কংগ্রেস নেতার কতার কথায়,’আমরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চাই। কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান সনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি দিয়েছেন।

(পড়তে পারেন। মহিলা ভোট নিশ্চিত করতে মরিয়া বিজেপি! ২০২৪-এর রোডম্যাপ তৈরি)

বিশেষ অধিবেশন চালাকালীন নিবার্চন কমিশনার ও কমিশনের অন্যান্য আধিকারিক নিয়োগ বিল ২০২৩ আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন,’বিশেষ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল আনতে পারে সরকার। ওরা যদি এটা আনে ভারতের সব দল এই বিরোধিতা হকবে।’

এছাড়া সরকার রিপিলিং অ্যান্ড অ্যামেন্ডিং বিল, পোস্ট অফিস বিল, অ্যাডভোকেটস (সংশোধন) বিল এবং প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিকালস বিল, ২০২৩-ও পাস করতে চায় এই বিশেষ অধিবেশনে। এছাড়া মহিলা সংরক্ষণটিও উত্থাপন করে বিজেপি।

জানা গিয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল যৌথ অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী দলগুলি একটি বৈঠকে বসবে। এই বৈঠকেই সংসদের উভয় কক্ষের জন্য যৌথ কৌশল তৈরি করবে তারা। এক বিরোধী দলের নেতার কথায়, ‘সরকার তাদের নিজস্ব কিছু বিশেষ রেখেই পাঁচদিনে অধিবেশন শেষ করে দিতে চায়। তবে তা হতে দেবে না বিরোধীরা। মৃল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের মতো বিষয় তারা উত্থাপন করবে। ‘