নোটারিরা বিয়ে কি বিয়ে দিতে পারেন? জবাবে কী বলল ওড়িশা হাইকোর্ট?

যিনি নোটারি করেন তিনি কী বিবাহ নিবন্ধন করতে পারেন? এক মামলার প্রেক্ষিতে ওড়িশা হাইকোর্ট জানিয়েছে, নোটারি করা বিবাহের ঘোষণাপত্র কখনও বিবাহের শংসাপত্র হতে পারে না। যিনি নোটারি করেন তিনি আইনগত ভাবে এই কাজ করতে পারেন না। 

এক ব্যক্তির দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস (বেআইনি ভাবে জোর করে আটকে রাখা) মামলায় শুনানির সময় ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রীকে তাঁর বাবা-মা বেআইনি ভাবে আটকে রেখেছেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে দিচ্ছেন না। 

বিচারপতি সঙ্গমকুমার সাহু এবং বিচারপতি শিবশঙ্কর মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, আবেদনকারীর মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের কোনও প্রমাণ আছে কি না? যেমন, ছবি বা কোনও ভিডিয়ো।

জবাবে আবেদনকারী জানায়, তাঁদের বিয়ের একটি ঘোষণপত্র তৈরি করা হয়। সেই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তাঁর  বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তাঁদের উপস্থিতিতেই চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সেই ঘোষণাপত্রের নোটারি করা হয়। 

শুনে বিচারকরা বলেন বিয়ের ক্ষেত্রে নোটারি অনুমোদিত নয়। নোটারির মাধ্যমে এই ভাবে বিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে আদালত।  বেঞ্চ বলে, এর ফলে দুই পক্ষেই মনে করছে তাদের আইনগত ভাবে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে এই বিয়ের কোনও আইনি বৈধতা নেই। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন সংশ্লিষ্ট নোটারিকেও আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। 

(পড়তে পারেন। কোভিডে চালু স্কিম সব অনাথের জন্য হোক! কেন্দ্রকে বলল সুপ্রিম কোর্ট)

(পড়তে পারেন। বদলে গেল ঔরঙ্গাবাদের-ওসমানাবাদের নাম! বিজ্ঞপ্তি জারি করল মহারাষ্ট্র সরকার)

বেঞ্চ বলে, রাজ্যের আইন বিভাগ ১৮ মার্চ ২০০৯-এ রাজ্যের সমস্ত নোটারিকে বিবাহের শংসাপত্র না দেওয়া জন্য নির্দেশে দিয়েছে। একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে নোটারি আইন ১৯৫২-র ৮(১) ধারা অনুযায়ী বিয়ে দেওয়া নোটারির কাজ নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই নির্দেশ সত্বেও নোটারিরা বিবাহের শংসাপত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকছে না। বিবাহের শাংসপত্র দিচ্ছে। যার ফল সুদূরপ্রসারি হচ্ছে।