শহরে কি বাড়তে চলেছে সম্পত্তি কর? কলকাতা পুরসভা বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে

কলকাতা পুরসভা এলাকায় সম্পত্তি কর বাড়তে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্দরে। কিন্তু এই পদক্ষেপ করলে শহরবাসীর পকেটে চাপ বাড়বে বলে খবর। সামনেই দুর্গাপুজো। তার মধ্যেই এমন খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করার জেরে আতঙ্কিত মানুষজন। ইতিমধ্যেই শহরে সম্পত্তি কর আদায়ে এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থা বা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। এবার তার বেস ভ্যালু বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা বলে সূত্রের খবর।

এদিকে সম্পত্তি কর বাড়তে পারে বলে একটি বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মেয়র পারিষদের বৈঠকে সম্পত্তি কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। কলকাতা পুরসভার পরবর্তী মাসিক অধিবেশনে এই প্রস্তাব আনা হবে। আর সকলের সম্মতি মিললে তা হাউসে পাশ হয়ে যাবে। তারপরই তা বাস্তবায়িত হবে। এখন প্রশ্ন উঠছে, কত টাকা করে সম্পত্তিকর বাড়বে? টাকার অঙ্ক সেভাবে ঠিক হয়নি। তবে প্রক্রিয়াটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। এলাকাভিত্তিক কর বিন্যাস বা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে বিলাসবহুল আবাসন বা যে এলাকার মানুষজন যেমন সুবিধা পান সেই অনুযায়ী কর বিন্যাস হয়ে থাকে।

অন্যদিকে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিতে শহরকে সাতটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এ ক্যাটাগরি—এখানে যে সমস্ত করদাতারা পড়ছেন তাঁদের ‘ইউনিট এরিয়া ভ্যালু’ স্কোয়ারফিট পিছু ৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮১ টাকা করা হতে পারে। এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ছে পার্ক স্ট্রিট, থিয়েটার রোড, আলিপুর এবং বালিগঞ্জের একটা এলাকা এবং গড়িয়াহাট রোড। বি ক্যাটাগরি—এখানের ক্ষেত্রে ইউনিট এরিয়া ভ্যালু স্কোয়ারফিট পিছু বাড়িয়ে ৫৬ থেকে ৬২ করা হতে পারে। সি ক্যাটাগরি—এখানের ক্ষেত্রে অঙ্কটা ৪২ থেকে ৪৬ করা হতে পারে। ডি ক্যাটাগরি—এখানের ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি করে ৩২ থেকে ৩৫ করা হতে পারে। ই–এফ–জি ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে খুব সামান্য টাকা বাড়বে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ সরকারি স্কুলে ঘাটতি শ্রেণিকক্ষের, সব জেলা মিলিয়ে প্রয়োজন বিপুল, সংকট চরমে

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে সমস্ত করদাতাদের। এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে কলকাতা পুরসভা। এখন শহরের ৩৫ শতাংশ করদাতাকে এলাকাভিত্তিক কর ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত করা গিয়েছে। শহরের বাকি বাসিন্দারাও যাতে এই পদ্ধতির আওতায় আসেন তার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সম্পত্তিকরের এই পুর্নবিন্যাস করলে চাপ বাড়বে মানুষের উপর বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে পুরসভার আয় অনেকটা বাড়বে।