Himachal Disaster: জীবনের সব সঞ্চয় হিমাচলের বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলে দান করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কত টাকা জেনে নিন

দুর্যোগে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও ত্রাণের জন্য় আবেদন করেছিলেন সেই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তবে এবার সারা জীবনের সঞ্চয় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করে দিলেন সুখবিন্দর সুখু। নিঃসন্দেহে নজির তৈরি করলেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী কমলেশ ঠাকুর ৫১ লাখ টাকার একটি চেক রাজ্যের মুখ্য়সচিব প্রবোধ সাক্সেনার হাতে তুলে দিচ্ছেন।

সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, আমি মানুষের যন্ত্রণার কথা অনুভব করতে পারছি। তাঁদের দুর্দশার কথা বুঝতে পারছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২৬০টি মূল্যবান প্রাণ হারিয়ে গিয়েছে। সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে মানুষ সহায়তা করেছেন। বয়স্করা তাঁদের পেনশনের টাকাও তুলে দিয়েছেন। বাচ্চারা তাদের পিগি ব্যাঙ্ক ভেঙে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন দুর্গতদের হাতে। আপকা রহত কোষে অর্থ সহায়তা করেছেন রাজ্য সরকারের কর্মীরা। তাঁরা তাঁদের বেতনের টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এই পাহাড়ি এলাকার মানুষ একযোগে দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

 

ভয়াবহ দুর্যোগ হিমাচলে। প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর মতে ক্ষতির পরিমাণ ১২,০০০ কোটি পেরিয়ে যেতে পারে। এই দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। তবে এবার নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে দিলেন ত্রাণ তহবিলে।

একের পর এক ধসে বিধ্বস্ত হিমাচল। ১৬৫টি ধসের ঘটনা। ৭২টি হড়পা বান। কুলু, মানালি, সোলান, শিমলাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্রায় ২৫৭৫ বাড়ি পুরো ভেঙে গিয়েছে। ১১,০০০ বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪২৬।

সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। দুর্গত মানুষদের ত্রাণ সহায়তা করেছেন অনেকেই। এই বিপর্যয় থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে তার রাস্তা খুঁজছেন অনেকেই। ভয়াবহ ক্ষতির মুখে গোটা রাজ্য। বহু জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। হড়পা বান ভাসিয়ে দিয়েছে বহু এলাকাকে।