‘‌এখন চাকরির কিছুটা সংকট রয়েছে’‌, উদয়নের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল

চাকরির টোপ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ। এমন অভিযোগ বারবার সামনে আসছে। প্রলোভন দেখিয়ে উত্তরবঙ্গের নানা জেলা থেকে বেকার যুবক–যুবতীদের টোপ দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে বলে উঠেছে অভিযোগ। এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই আবহের মধ্যেই আবার বেফাঁস মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাতে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন বেকার যুবক–যুবতীরা চাকরির প্রলোভনে পা দিচ্ছেন?‌ সেটা খোলসা করলেন তিনি। তবে সৃষ্টি হল বিতর্কের।

রাজ্যে কি চাকরি নেই?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর মন্তব্যের পর থেকে। বিরোধীরা এমন অভিযোগ করেই থাকে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। বেকার বাড়ছে রাজ্যে—এটা বিরোধীদের মুখে শোনা যায়। শূন্যপদে চাকরির দাবি নিয়ে এখন আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে অনেক যুবক–যুবতীকে। শহর কলকাতায় এই ছবি দেখা গিয়েছে। তার উপর আবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেকে জেলে। সেক্ষেত্রে সুর রোজ চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। এমন এক অবস্থার মধ্যে আবার রাজ্যে চাকরির সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে এনে বিতর্ক বাড়ালেন উদয়ন গুহ।

আর কী জানা যাচ্ছে? চাকরির টোপে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন উত্তরবঙ্গে বলে এখন অভিযোগ উঠেছে।‌ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে ধূপগুড়ি–বানারহাট এবং আরও অন্যান্য জায়গায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যুবক–যুবতীদের প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী এখানে একাধিক চক্র কাজ করছে বলেও অভিযোগ। তাছাড়া এমন অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি সংস্থা ‘স্মার্ট ভ্যালু’র বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১৮ হাজার টাকার নিয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তা শেষ হলেই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিত ওই কোম্পানি। কিন্তু এই প্রতারণার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজন যুবতী।

আরও পড়ুন:‌ রাজভবনকে চিঠি দিল বিধানসভার পরিষদীয় দফতর, নতুন বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে?

ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী?‌ এই প্রতারণা এবং প্রলোভন নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে। শনিবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন যুবক–যুবতীরা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন সাংবাদিকদের উদয়ন বলেন, ‘‌এখন চাকরির কিছুটা সংকট রয়েছে। তাই অনেকে প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি জন্য কম চেষ্টা করছি না। বিভিন্ন সমাবেশে বারবার বলা হচ্ছে, প্রলোভনে পা না দিতে। যাঁরা টাকা দেয় তাঁরা খারাপ। আর যাঁরা টাকা নেয় তাঁরাও খুব খারাপ। যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরা বোকামি করছেন।’‌