Abhijit Sarkar: ক্ষুরটা বের কর! ফেরার অভিযুক্তরাই ‘চড়াও’ হল মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের দাদার উপর

ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে খুন হয়েছিলেন অভিজিৎ সরকার। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই মৃত অভিজিৎ সরকারের দাদাকে মারধরের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই নারকেল ডাঙা থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন খুন করা হয়েছিল কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে।

এদিকে মঙ্গলবার থেকেই অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় সাক্ষ্যদান করা শুরু হচ্ছে। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার রয়েছে এমন দুজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। দুই অভিযুক্তের নাম অরুণ দে ও অমিত দাস।

কিন্তু কেন তাকে এভাবে মারধর করা হল বলে অভিযোগ? আগামী মঙ্গলবার থেকে সাক্ষ্যদান করা হবে। তার আগে মারধরের অভিযোগ বিশ্বজিৎ সরকারকে। ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল অভিজিৎ সরকারের। তার দাবি ভাইয়ের খুনে অভিযুক্তরা প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।

বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, অরুণ দে বলছিল ক্ষুরটা বের কর। গলাটা কেটে দেব। সাক্ষ্য দিতে পারব না। পথচারী দুজন এসে যাওয়ায় ওরা পালিয়ে যায়। ওরা সিবিআইয়ের চোখে ফেরার। ওদের জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে। আর তারাই আমাকে মারধর করল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিরাপত্তারক্ষী আমার বাড়িতে আছে। কিন্তু আমার সঙ্গে তো নিরাপত্তা আধিকারিক থাকে না। আমি সিবিআই আধিকারিককে ফোন করেছি। বলেছি আপনারা কেন ধরছেন না। জানি না সাক্ষ্য টা দিতে পারব কি না। আমার গলায় ক্ষুর বসিয়ে দিচ্ছে। পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। দেখা যাক কী হয়। তবে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। সিবিআইয়ের খাতায় যারা ফেরার তারা কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরতে পারে? তবে এবার সিবিআই কী ব্যবস্থা নেয় সেটাই দেখার। তবে গোটা ঘটনায় ফের শোরগোল পড়েছে রাজনীতির আঙিনায়।