Seema on Anantnag: ফেলে আসা দেশই জঙ্গি ঘাঁটি, রেগে ফায়ার পাকিস্তানি বধূ সীমা, অন্তননাগের শহিদদের নিয়ে লিখলেন কবিতা

অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন তিন সুরক্ষা আধিকারিক। কর্নেল মনপ্রীত সিং, ব্যাটেলিয়ন কমান্ডিং মেজর আশিস ধোনক ও ডিএসপি হুমায়ুন ভাট শহিদ হয়েছেন। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর। সেখানে অভিযানে নেমে শহিদ হন তাঁরা। কিন্তু এবার প্রশ্ন এনিয়ে কী বলছেন পাকিস্তান থেকে আসা বধূ সীমা হায়দার?

সীমা কার্যত ফুঁসে উঠলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতের সাহসী সেনাদের জন্য মন কাঁদছে সীমার। একেবারে কবিতার ছন্দে তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। পাকিস্তান যে জঙ্গি ঘাঁটি সেকথাও বলেছেন তিনি।

সীমা একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,জয় শ্রীরাম, রাধে রাধে। ভারত সম্পর্কে পাকিস্তানে ভুল কথা বলা হয়। পাকিস্তান তাদের জঙ্গিদের কাছ থেকেও রেহাই পাবে না। ভারত সম্পর্কে মিথ্যে কথা বলা এসব বন্ধ হওয়া দরকার। এসব কারণেই পাকিস্তানে কেউ থাকতে চান না। পাকিস্তান এই সব জঙ্গিদের নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। আমি বীর শহিদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

সেই সঙ্গেই একটা কবিতা আবৃত্তি করেছেন তিনি। শহিদদের উদ্দেশ্যে তাঁর কবিতা। তিনি জানিয়েছেন, ভারত মাতার কোলে তাঁরা শুয়ে আছেন। যখন সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে তোমাদের থাকার কথা তখন তোমরা তেরঙা পতাকা বুকে জড়িয়ে নিলে। লং লিভ ইন্ডিয়া। ভারত দীর্ঘজীবী হোক।

কিন্তু পাকিস্তান তো সীমার নিজের দেশ। সেখানে কি আর ফিরতে চান না সীমা?

সীমা জানিয়েছেন আর পাকিস্তানে ফিরতে চাই না। পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিলে ওরা মেরে ফেলবে। ওরা আমার হাত পা কেটে ফেলবে। তিনি ভারত সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতের যুবক সচিন মীনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমা হায়দারের। এরপর চার সন্তানকে নিয়ে তিনি পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই। ভারতের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্য তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। ভারতের জাতীয় পতাকাও তুলেছেন তিনি। তবে এবার অনন্তনাগে জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন তিনি।