Sonia Gandhi: জোট বার্তা দিলেন সোনিয়া, এবার কি তৃণমূলকে ভাই বলে জড়িয়ে ধরবে কংগ্রেস?

বাংলায় কি আদৌ জোট হবে? এনিয়ে সংশয়ের অন্ত নেই। তবে এবার এনিয়ে বড় বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। হায়দরাবাদে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে এনিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে সোনিয়া বা রাহুল আলাদাভাবে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও দিল্লির কথা উল্লেখ করেননি।

সূত্রের খবর, সোনিয়া জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোটের যে শরিক দলগুলি রয়েছে তার সঙ্গে কংগ্রেসকে সহযোগিতা করতে হবে। তা হলেই বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে। ইন্ডিয়া জোটকে আরও মজবুত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।

এবার প্রশ্ন হাইকমান্ডের এই কথা কি আদৌ খাটবে পঞ্জাবে, দিল্লিতে, কিংবা পশ্চিমবঙ্গে? এসবের মধ্য়েই জোটের জনসভা করার ডাকও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলায় কি আদৌ এটা সম্ভব? কৌস্তভ বাগচি সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা ইতিমধ্য়ে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। অধীর চৌধুরী এখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে শান দিচ্ছেন। ধূপগুড়ি ভোটে পরাজয়ের পরে সেই ধার যেন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই নিরিখে এবার প্রশ্ন সোনিয়া ও রাহুলের এই জোট মন্তব্য কি মানবেন নীচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা?

পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে আপের লড়াই। দিল্লিতেও তাই। তার মধ্য়ে হঠাৎ করে আপের হাত ধরে ফেলবে কংগ্রেস। এটা কোন সমীকরণে সম্ভব সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সোনিয়া জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোটের যে শরিক দলগুলি রয়েছে তার সঙ্গে কংগ্রেসকে সহযোগিতা করতে হবে। তা হলেই বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে।

কিন্তু বিজেপিকে পরাস্ত করার জন্য রাজ্যের পয়লা নম্বর শত্রু বলে পরিচিত তৃণমূলকে ভাই বলে জড়িয়ে ধরা কংগ্রেসের পক্ষে কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কৌস্তভ বাগচি এক্স প্লাটফর্মে আগেই লিখেছিলেন, ‘‌সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮ জন কংগ্রেস কর্মী মারা গিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে এই খুন হয়েছে। আমি অতীতে তাদের গুণ্ডামি ও অত্যাচারের ঘটনা এবং সংখ্যায় যাচ্ছি না। পশ্চিমবঙ্গে আমরাও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী। হ্যাঁ আমরা এখনও আছি। তারপরেও কেন তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক?’‌