TMC Protest in Delhi :বাকেয়া চাইতে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গিরিরাজের দরবারে যাবেন মমতা, চাইলেন সময়

বকেয়া টাকা চাইতে এবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে দরবার করবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে যাবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাধিপতি, পঞ্চায়েত প্রধানরা। এর জন্য আগামী ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে একশ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পের বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই অভিযোগ তুলে লাগাতাগার বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাতে গিয়েছিল অভিষেক। কিন্তু তিনি সময় দিয়েও দেখা করেন। এবার বকেয়া টাকা চাইতে গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বঞ্চিত মানুষের প্রায় ৫০ লক্ষ চিঠি তাঁরা নিয়ে যাবেন দিল্লিতে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২ অক্টোবর দিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তিনি জানিয়েছিলেন এই কর্মসূচির কথা। কিন্তু দিল্লিতে এই কর্মসূচির জন্য বার কয়েক অনুমতি চাওয়া হলে তিনি পুলিশ অনুমতি দেয়নি।

(পড়তে পারেন। শ্রীলঙ্কা নিয়ে শুভেন্দুর টুইট দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিদেশ মন্ত্রকে নালিশ জানাল তৃণমূল)

(পড়তে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবু তাহেরের আত্মসমর্পণ, সিবিআইয়ের চাপে গেলেন আদালতে)

তাই বিকল্প হিসাবে গান্ধীজির জন্মজয়ন্তিতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গ শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকও করে তৃণমূল। সেখানে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘মনরেগা খাতে কেন্দ্রের কাছে আমাদের পাওনা রয়েছে ৬৯০৭ কোটি টাকা।’ তিনি আরও জানান, একাধিকবার রাজ্যে কেন্দ্র পর্যবেক্ষকদল এসেছে। তাঁরা যা যা জানতে চেয়েছেন তার উত্তর দেওয়া হয়েছে।

শুরু মনরেগা নয় গ্রাম সড়ক যোজনাতেও বাকি রয়েছে ৭৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া আবাস যোজনার বাকি রয়েছে ৮১৪১ টাকা। সব মিলিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে অভিষেক যখন কেন্দ্রীয় গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তখন তিনি মন্ত্রকে ছিলেন না। মন্ত্রক থেকে জানানো হয় মন্ত্রী জরুরি কাজে বিহারে গিয়েছেন। পরেদিনই তাঁকে দেখা যায় সংসদ ভবনে। তা নিয়ে তৈরি চূড়ান্ত বিভ্রান্তি। এবার তিনি কী করবেন তা প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূলের মনে।