Calcutta High court: শিক্ষকের কর্মজীবনের ৯ মাস সার্ভিস রেকর্ড থেকে বাদ, অবিলম্বে যুক্ত করার নির্দেশ

এক স্কুল শিক্ষকের মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষকের অভিযোগ ছিল, তাঁর সার্ভিস রেকর্ড থেকে ৯ মাস বাদ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, তাঁকে নিয়োগ করা হলেও প্রথম ৯ মাস কোনও বেতন দেওয়া হয়নি ।সেই সংক্রান্ত মামলায় ওই স্কুল শিক্ষকের বকেয়া বেতন অবিলম্বে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাঁর সার্ভিস রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া ৯ মাসে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। ওই স্কুল শিক্ষকের নাম জয়ন্ত বর্মন।

আরও পড়ুন: ২০ বছরের লড়াইয়ে জয়! শিক্ষককে বকেয়া বেতন ফেরত দিয়ে পেনশন চালু করতে বলল আদালত

মামলার বয়ান অনুযায়ী, জয়ন্ত বর্মন ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ওই উত্তর দিনাজপুরের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। সেই স্কুলে ৯ মাস শিক্ষকতা করার পর ওই শিক্ষককে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই উত্তর দিনাজপুরের দুদুন্দা অলকতীর্থ বিদ্যাপীঠে বদলি করা হয়। তারপর থেকে তাঁর বেতন চালু হয়। শিক্ষকের অভিযোগ, তিনি প্রথম যে স্কুলে ৯ মাস ধরে কাজ করেছিলেন সেই ৯ মাসের বেতন তাকে দেওয়া হয়নি। এমনকী কর্মজীবনের প্রথম ৯ মাস তাঁর সার্ভিস রেকর্ডে যুক্ত করা হয়নি। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই থেকে তাঁর কর্মজীবনের সময় ধরা হয়। সেই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই স্কুল শিক্ষক।

 মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।  সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি বসু জেলা স্কুল পরিদর্শককে তলব করেছিলেন। তবে আদালতে হাজির হয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক যে যুক্তি দেখান তা আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। জেলা পরিদর্শন জানান, ওই শিক্ষক প্রথমে যে স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময় স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশের শূন্যপদ ছিল না। 

জেলা পরিদর্শকের এই উত্তরের পরে বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ‘নিয়োগপত্র পাওয়ার পরেই ওই শিক্ষক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। তাহলে একাদশ দ্বাদশে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন নিয়োগ করা হয়েছিল?’ অর্থাৎ আদালতের বক্তব্য, শুন্যপদ যেখানে ছিলই না তাহলে ওই স্কুলে।শিক্ষককে কেন নিয়োগ করা হল। সেটা তাদের ভুল। তবে আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি জেলা শাসক জেলা পরিদর্শক। তারপরেই আদালত নির্দেশ দেয়, ওই শিক্ষকের প্রাপ্য বকেয়া বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে এবং তাঁর সার্ভিস রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া ৯ মাস যুক্ত করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি আলাদতে ভুল সংশোধনের আশ্বাস দেন।