Gita Mehta Passes Away: স্বনামধন্য লেখিকা, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বোন গীতা মেহতার জীবনাবসান

স্বনামধন্য লেখিকা তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বোন গীতা মেহতা প্রয়াত। শনিবার নয়া দিল্লিতে ৮০ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান হয়। সাহিত্যের জগত ছাড়াও ও ফিল্ম মেকার হিসাবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম নাম বিজু পট্টনায়কের মেয়ে গীতা বহু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।

উল্লেখ্য, বোন গীতা পট্টনায়কের প্রয়াণবার্তা শুনে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন নবীন পট্টনায়ক। প্রসঙ্গত, গীতা মেহতার জন্মও হয়েছিল দিল্লিতে। ১৯৪৩ সালে বিজু পট্টনায়ক ও জ্ঞান পট্টনায়কের কোল আলো করে দিল্লিতে জন্ম হয়েছিল গীতার। ভারতের পড়াশোনা শেষ করে ইউকের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেল নিজের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন গীতা। তাঁর লেখা একাধিক গ্রন্থ ব্যাপকভাবে সমাদৃত। ‘কর্ম কোলা’,’স্নেক’,’ল্যাডার’,’এ রিভার সূত্র’,’দ্য ইটারনাল গণেশা’ এমন বহু ধরনের বই তিনি লিখেছেন। যা পাঠক সমাজতে সমাদৃত করে। উল্লেখ্য, গীতা মেহতার প্রয়াণে শোকের ছায়া দেশের সব মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, গীতা মেহতার প্রয়াণের দুঃসংবাদ পেয়ে একটি শোক বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী লেখেন,’শোকাহত’। নিজের শোকবার্তায় মোদী লেখেন,’ তিনি একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব ছিলেন, তার বুদ্ধিমত্তা এবং লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি আগ্রহের জন্য পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং জল সংরক্ষণ সম্পর্কে উত্সাহী ছিলেন। আমি এই শোকের মুহুর্তে নবীন জির এবং সমগ্র পরিবারের সাথে। ওম শান্তি।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ওড়িশার ভূমিপুত্র ধর্মেন্দ্র প্রধানের তরফেও এসেছে শোকবার্তা। তিনি লেখেন, ‘ বিশিষ্ট লেখক গীতা মেহতা জির প্রয়াণের খবর শুনে মর্মাহত। এটা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতের বড় ক্ষতি। মাননীয় প্রতি আন্তরিক সমবেদনা। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও পরিবার। তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দেওয়ার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করুন। ওম শান্তি।’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে গীতা মেহতাকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হলেও, তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি সেই সম্মান এক পরে তাঁকে দেওয়ার জন্য সম্মানকে প্রত্যাখ্যান করেন।  নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে গীতা মেহতা বলেছিলেন,’ আমি গভীরভাবে সম্মানিত যে ভারত সরকারের আমাকে পদ্মশ্রী পাওয়ার যোগ্য মনে করা উচিত কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমি মনে করি আমাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে কারণ একটি সাধারণ নির্বাচন সামনে আসছে এবং পুরস্কারের সময়কে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে, যা সরকার এবং উভয়ের জন্যই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। আমি নিজেই, যা আমি খুব অনুতপ্ত হবে।’