Hyderabad Merger: মুসলিম শাসকের হাত থেকে মুক্তি নাকি শুধুই ভারত ভুক্তি? ৭৫ বছরে ফিরে দেখা হায়দরাবাদ

শ্রীনিবাস রাও আপ্পারাসু

পূর্বতন হায়দরাবাদ মিশে গিয়েছিল ভারতের সঙ্গে। তারই ৭৫ বছর পূর্তি হল রবিবার। গোটা তেলঙ্গানা রাজ্য, কর্ণাটকের সীমান্ত এলাকার কিছু অংশ, মহারাষ্ট্রের একাংশ এই হায়দরাবাদের অন্তর্গত ছিল। সেটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। সে অনেক দিন আগের কথা। কিন্তু তবুও এখনও তেলেঙ্গানার আকাশে বাতাসে নতুন করে ভাসছে সেকথা এটা কি ভারত ভুক্তি দিবস? নাকি এটা মুক্তি দিবস? আসলে তেলেঙ্গানার ভোটের আগে নতুন করে এনিয়ে নানা কথা উঠতে শুরু করেছে।

এবার একটু পিছন ফিরে দেখা যাক। হায়দরাবাদ বিগত দিনে আসফ জাহি শাসকদের আওতাধীন ছিল। ১৯৪৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এটা ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। স্বাধীনতার প্রায় এক বছর পরে এই হায়দরাবাদ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। সেই সময় হায়দরাবাদের শাসক মির ওসমান আলি খানের অনড় মনোভাবের বিরুদ্ধে অপারেশন পোলোতে নেমেছিল ভারতীয় মিলিটারি ফোর্স। কারণ ওই নিজাম চাইতেন না ভারতের সঙ্গে হায়দরাবাদ যুক্ত হয়ে যাক।

এদিকে হিন্দু কট্টরপন্থীদের মতে, এটা তেলেঙ্গানার মুক্তি দিবস। কারণ তাদের দাবি এই এলাকা একটা সময় দখল করে রেখেছিল মুসলিম শাসকরা। তাদের দাবি ভারতের মধ্যে তারা মুসলিম রাজ্য তৈরির চেষ্টা করছিল। পাকিস্তান থেকে তারা মদত পাচ্ছিল বলে তাদের অভিযোগ।

২০২২ সালে এনডিএ সরকার প্রথমবার এই মুক্তি দিবস পালনের কথা জানায়। গত বছর সেকেন্দ্রাবাদ প্যারেড গ্রাউন্ডে বিরাট মিছিল, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। এবছর বড় কর্মসূচি হয়েছে।

তবে এর অন্যদিকও আছে। ভারত রাষ্ট্র সমিতি ও তার সহযোগী মিমের দাবি এটা ন্যাশানাল ইন্টিগ্রেশন ডে। কারণ ১৯৪৮ সালে এই দিনে এটি ভারত ভুক্তি হয়েছিল। এদিকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও হায়দরাবাদের ভারত ভুক্তি নিয়ে সরকারি কর্মসূচির কথা কিছু জানাননি। তাঁর মতে এনটিআর স্টেডিয়ামে এনিয়ে ইন্টিগ্রেশন ডে পালনের মাধ্যমেই যাবতীয় কর্মসূচি করা হচ্ছে।

ওয়াকিবহাল দিবসের মতে, এই দিনটাকে কেন্দ্র করে এবার বিজেপি ও বিআরএস চাইছে নিজেদের মতো করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। কারণ তেলেঙ্গানার কাছে এই দিনের আবেগ অন্যরকম। সেই আবেগে শান দিতে চাইছে দুপক্ষই। কারণ ভোট বড় বালাই।

তবে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আদাপা সত্যনারায়াণ জানিয়েছেন, এটা বলাই যায় যে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য তৎকালীন হায়দরাবাদের মানুষ কোনও মুক্তি যুদ্ধ করেননি।