Pollution testing centre: ধোঁয়া পরীক্ষাকেন্দ্রে কারচুপি রুখতে নয়া সফটওয়্যার আনছে পরিবহণ দফতর

গাড়ি থেকে দূষণ রুখতে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয় মালিকদের। আর না থাকলে পুলিশের কাছে গুনতে হয় জরিমানা। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রে দূষণ পাসের সার্টিফিকেট থাকলেও পুলিশের যন্ত্রে ফেল করছে অনেক গাড়ি। এই অবস্থায় একাধিক ধোঁয়া পরীক্ষাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। আনা হচ্ছে নয়া সফটওয়্যার। ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রের দূষণ মাপার যন্ত্রগুলিতে এই সফটওয়্যার বাধ্যতামূলকভাবে লাগাতে হবে। এর ফলে দূষণ মাপার যন্ত্রে কারচুপি করা যাবে না বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে যাচাই হবে গাড়ির ফিটনেস, তৈরি হচ্ছে অটোমেটিক টেস্টিং ষ্টেশন

জানা গিয়েছে, এই সফটওয়্যার নিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সংস্থা বেসিল। দুটি ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপরে বাকি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। এই সফটওয়্যার ই পরিবহণ অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই সফটওয়্যারটি থাকলে অন্য কোনও জাল সফটওয়্যার আর কাজ করবে না। ফলে ই-বাহনের সঙ্গে লিঙ্ক হবে না। ফলে সার্টিফিকেটও পাওয়া যাবে না। 

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ২ হাজারের বেশি ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার ফলে আসলে গাড়ির মালিকরাই বিপাকে পড়ছেন। যদিও পরীক্ষা কেন্দ্রের মালিকদের বক্তব্য, অনেকেই জোর করে টাকা দিয়ে জাল সার্টিফিকেট নিতে চান। ফলে বাধ্য হয়েই তাদের জাল সার্টিফিকেট দিতে হয়। বিভিন্ন বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনের দাবি, সার্টিফিকেট থাকার পরেও তাদেরকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এরপরে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে অভিযান চালান মোটর ভেহিকেল ইন্সপেক্টররা। তখনই সফটওয়্যার ব্যবহার করে জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। 

ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নজরে আসার পরে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ৪টি ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্রকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি এ বিষয়ে স্বচ্ছতার দাবি করেছে। তারপরেই সফটওয়্যার আনার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহণ দফতর। পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই সফটওয়্যারের ফলে পরীক্ষাকেন্দ্রের ধোঁয়া পরীক্ষা করার মেশিনে কারচুপি করা যাবে না। এই সফটওয়্যার থাকলে তবেই ই-বাহনের সঙ্গে লিঙ্ক করা যাবে। আর না হলে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না। এরফলে গাড়ির মালিকদেরও হয়রানি কমবে।