Investment: মমতার আহ্বান, শেকড়ের টানে বাংলায় বিনিয়োগে উৎসাহী মিত্তালরা, শিল্পে জোয়ার আসবে?

বাংলার যুবকরা যেমন ভিনরাজ্যে কাজে যান। তেমনি বাংলার শিল্পোদ্যোগীরা অনেকেই বাংলাকে বাদ দিয়ে বিদেশে বিনিয়োগে বেশি উৎসাহী। তাঁরা এতদিন ধরে বাংলার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতেন। নানা কারণ রয়েছে এর পেছনে।

তবে এবার হয়তো চিত্রটা কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলের তরফে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফর। এবার মিত্তাল গোষ্ঠী বাংলায় ২৫০ কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এনিয়ে বিশেষ অনুরোধ করেন। এরপরই তাঁরা এনিয়ে সাড়া দিয়েছেন। স্পেনে মিত্তালদের রেলের স্লিপার তৈরির কারখানা ঘুরেও দেখেন বাংলা থেকে যাওয়া পদস্থ আধিকারিক ও প্রতিনিধিরা।

শিলিগুড়ির সঙ্গে মিত্তালদের একেবারে নাড়ির টান। সেখানে মিত্তাল পরিবারের অনেকেই থাকেন। তবে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁদের শিল্প কারখানা। রেলের স্লিপার তৈরিতে তাঁদের বিশ্বজোড়া নাম। তবে এবার সেই মিত্তালরা মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলায় ফের বিনিয়োগে উৎসাহী বলে খবর।

পিসিএম গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের সিএমডি কমল মিত্তাল এনিয়ে যথেষ্ট উৎসাহিত। এবার বাংলায় ফের বিনিয়োগ করতে চান তিনি। আসলে শেকড়ের টানে আবার ঘরে ফেরার প্রস্তুতি। ঠিক কোন ক্ষেত্রে তাঁরা বিনিয়োগের উৎসাহ দেখিয়েছেন সেটা দেখে নেওয়া যাক।

সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গকে বিশেষভাবে ফোকাস করতে চাইছেন তাঁরা। ইথানল কারখানা থেকে আন্তর্জাতিক মানের হোটেল। সূত্রের খবর, দেড়শো কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ইথানল কারখানা তৈরি করা হবে শিলিগুড়ির অদূরেই। নিউ জলপাইগুড়ির কাছে রেলের স্লিপার তৈরির একটি কারখানা ইতিমধ্য়েই রয়েছে। বিদেশি প্রযুক্তির সহায়তায় আরও একটা কারখানা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে এবার।

মুখ্যসচিব, শিল্প সচিব, মুখ্যমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টা সহ বাংলার প্রতিনিধিরা বিদেশে মিত্তালদের কারখানা ঘুরে দেখেন। অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখানে স্লিপার তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে বাংলায় তাঁরা যদি ফের বিনিয়োগ করেন তবে আবার জোয়ার আসবে বাংলায়। কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে। পেটে ভাত, আর হাতে কাজ দুটোই আসবে বাংলায়। নতুন আশায় দিন গুনছেন বঙ্গবাসী। সেই সঙ্গে জারার মতো বস্ত্র শিল্পগোষ্ঠী বাংলায় উৎপাদন শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে বাংলায় শিল্পের খরা কাটার ব্যাপারে নতুন করে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। তবে বাস্তবে বিনিয়োগ কতটা হবে সেটাই এখন দেখার।