প্রথম স্ত্রীর চাপে দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন, পুলিশের জালে বাবাজীবন

হাওড়ার ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া ব্রিজে মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনা কিনারা করল পুলিশ। ওই ঘটনায় মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে ডোমজুড় থানা। ধৃত জেরায় জানিয়েছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর চাপে প্রথম স্ত্রীকে খুন করেছে সে।

গত ২৫ জুলাই সকালে পাকুড়িয়া উড়ালপুলের ওপরে একটি বস্তাবন্দি দেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এর পরে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দারা। কিন্তু মহিলার পরিচয় কিছুতেই জানতে পারছিলেন না তাঁরা।

মহিলার পরিচয় জানতে লিফলেট ছাপিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে দেয় পুলিশ। সেই ছবি দেখেই লিলুয়ার পূর্বপাড়ার এক মহিলা ওই মহিলাকে সনাক্ত করেন। পুলিশকে তিনি জানান, মহিলা লিলুয়ার পচা খালের আসেপাশের এলাকার বাসিন্দা। সেই এলাকায় খোঁজ করে পুলিশ মহিলার নাম জানতে পারে। জানা যায়, তাঁর নাম সুনয়না দেবী। কিন্তু জুলাই মাস থেকে তাঁর স্বামীসহ পরিবারের কারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এর পর সুনয়না দেবীর স্বামী অনিল যাদবের ফোন নম্বর জোগাড় করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার হাওড়ার দাসনগর থেকে নিহত মহিলার স্বামী অনিল যাদবকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

জেরায় ধৃত জানিয়েছে, সম্প্রতি বিহারে দ্বিতীয় বিয়ে করে সে। এর পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রথম স্ত্রীকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। সেই চাপের মুখেই ২৪ জুলাই রাতে প্রথম স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অনিল। তার পর দেহ একটা বস্তায় ভরে ভোর রাতে পাকুড়িয়া ব্রিজের ওপরে ফেলে দেয়। গোটা ঘটনা সে একাই ঘটিয়েছে, না কি তার সঙ্গে কেউ যুক্ত ছিল, জানতে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।