Akasa Air crisis: একের পর এক পাইলট চাকরি ছাড়ছেন, এ মাসে বাতিল হতে পারে ৭০০ উড়ান, Akasa কি সংকটে?

অগস্টে ৬০০ উড়ান বাতিল করেছে আকাসা এয়ার। সেপ্টেম্বরেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। একের পর এক পাইলটের পদত্যাগের কারণে বাতিল করতে হচ্ছে উড়ান। বুধবার আদালতে তেমনটাই জানিয়েছে সংস্থা। পরিস্থিতি যদি এমন চলতে থাকে তবে খুব শীঘ্র সংস্থা বাধ্য হবে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে।

দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আকাসা এয়ার জানিয়েছে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) কে আদালত নির্দেশ দিক, যাতে যে সমস্ত পাইলটরা বাধ্যতামূলক নোটিশ পিরিয়ড না মেনে চাকরি ছেড়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

২০২২-এর ৭ অগস্ট মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে বিমান চালিয়ে পরিষেবা চালু করে। কিন্তু এই পরিষেবা ধাক্কা খায় হঠাৎ করে একাধিক পাইলট ছেড়ে দেওয়ায়।

(পড়তে পারেন। পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ হলেই কি ডিএনএ টেস্ট? কী বলল কেরল হাইকোর্ট)

সংস্থার সিইও বিনয় দুবে কর্মীদের ইমেল পাঠিয়ে জানিয়েছেন কিছু স্বল্প সংখ্যক পাইলট তাঁদের বাধ্যতামূলক নোটিশ পিরিয়ড না মেনে চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু সংস্থাটি বিনিয়োগ জারি রেখেছে। ইতিমধ্যে আরও কিছু প্লেন কেনার অর্ডার দিয়েছে।

যে দিনই আদালতে সংস্থাটি তার অবস্থার কথা জানিয়ে পরিষেবা বন্ধ করার বার্তা দেয় সে দিনই দুবের চিঠি কর্মীদের কাছে গিয়েছে। সংস্থার আধিকারিক যিনি শুনানির বিষয়ে ওয়াকিবহাল, তিনি জানিয়েছে,’ আমরা কম বিমান চালা,কিছু শেয়ারও ছেড়ে দেব…তবে এ সব স্বল্প সময়ের ব্যাপার।’ তিনি বলেন বিমান সংস্থাটি আর্থিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

আকাসা যে পাইলটদের এনেছিল তাঁদের বেশির ভাগ প্রতিযোগী সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আদালতের পাশাপাশি ডিজিসিএ-কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে সংস্থা।

পাইলটদের নোটিশ পিরিয়ড ৬ থেকে ১২ মাস। তা নির্ভর করে পাইলটদের পদমর্যাদার উপর।