Anti Hindu Attack: পুজোর বাকি এখনো ১ মাস, বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেল প্রতিমা ভাঙচুর, কাঠগড়ায় পুলিশ

বাংলাদেশে ফের হিন্দু দেবতার প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে বাংলাদেশের ফরিদপুর উপজেলার তাম্বুলখানা বাজারে সার্বজনীন কালী ও দুর্গা মন্দিরে নির্মিয়মান প্রতিমা ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। ২০২১ সালেও এই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনার নিন্দা করেছে সেদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে না পারায় এমনিতেই আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। শারদোৎসবের মুখে বাংলাদেশে ফের হামলার মুখে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সোমবার রাতে ফরিদপুর উপজেলার কইজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানা বাজারে নির্মিয়মান দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার দুর্গাপ্রতিমায় মাটি দেওয়ার কাজ করছিলেন মৃৎশিল্পীরা। রাত ১০টা নাগাদ মন্দির বন্ধ করে তাঁরা বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার সকালে মন্দির খুলে তাঁরা দেখেন, গণেশের মূর্তির মাথা, লক্ষ্মীর ২ হাত ও দুর্গার বামদিরে একটি হাত ভাঙা। মন্দির কমিটির সভাপতি প্রফুল্লকুমার সরকার জানান, ‘মঙ্গলবার ভোরে মন্দিরে ঢুকে কেউ বা কারা এই কাজ করেছে।’

এই ঘটনায় বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিকালে সারাদেশ জুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু এ সমস্ত ঘটনার কোনো বিচার এ যাবৎকালে না হওয়ার ফলে এ ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফরিদপুরের ওই একই মন্দিরে ২০২১ সালেও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঐ সময়ও দুর্গাপূজার আগে ওই মন্দিরে নির্মিয়মান দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। সে সময় দিদার নামে এক দুষ্কৃতিকারীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। কিন্তু ওই দিদারকে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে দাবি করে ১৫ দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হয়। সে সময় যদি ওই দুষ্কৃতিকারীকে যথাযথ শাস্তির সম্মুখীন করা হতো তাহলে আজকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না।