Baba Ramdev: রামদেবের ভারতীয় শিক্ষা বোর্ডকে স্বীকৃতি দিল AICTE, স্কুল শিক্ষায় গুরুকূল!

সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন( AICTE) তাদের নয়া নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ভারতীয় শিক্ষা বোর্ডকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষা বোর্ড বলে গণ্য় করা হল। ২০১৯ সালে এই বোর্ড তৈরি হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রক আগেই এই বোর্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এবার সেটাই অন্যান্য জাতীয় বোর্ডের সমতূল্য হিসাবে গণ্য করা হবে।

এআইসিটিই তাদের নোটিফিকেশনে জানিয়েছে, ভারতীয় শিক্ষাবোর্ডকে প্যান ইন্ডিয়া স্কুল এডুকেশন বোর্ড হিসাবে গণ্য করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ভারতের মধ্য়ে রেগুলার স্কুল বোর্ড হিসাবে এটা কাজ করবে।

বিএসবির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ফের লাগু করার জন্য় এই সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল। ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরা ও গুরুকূল প্রথাকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। পাশ্চাত্য ভাবধারা ও দাসত্বের মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে দেশের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এই বোর্ডের মাথায় রয়েছেন রামদেব। আর রয়েছেন পতঞ্জলির সহ প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বালকৃষ্ণ। এই শিক্ষা বোর্ডে আর যে সদস্যরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম আধ্য়াত্মিক গুরু মুরারি বাপু, স্বামী গোবিন্দ গিরিজী, শ্রীনিবাস বরাখেদি( উপাধ্য়ক্ষ) ডঃ নগেন্দ্র প্রসাদ সিং , ডঃ পুনম সুরী ও গিরিধর মালব্য সাদস্য।

একেবারে খাঁটি ভারতীয় শিক্ষা। প্রাচীন ভারতে প্রচলিত গুরুকূল শিক্ষার আদলে তৈরি এই সিস্টেম। তবে শুধু যে সনাতনী শিক্ষা ব্যবস্থা তেমনটা নয়। এই সিস্টেমে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ভারতের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার একটি মিশ্রনের কথা বলা হয়।

এবার সিবিএসই ও আইসিএসইর মতোই সমমানের হবে রামদেবের বিএসবিও। ২০১৯ সালের ৯ মার্চ মহর্ষি সন্দিপনী রাষ্ট্রীয় বেদ বিদ্যা প্রতিষ্ঠানের আওতায় এই বিএসবি তৈরি হয়েছিল। অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিও এই বোর্ডকে ক্লাস ১০ ও ক্লাস ১২ এর বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার উপযোগী বলে ঘোষণা করেছে। ভারতের মধ্য়ে এবার রাম দেবের বোর্ডও নর্মাল স্কুল বোর্ড হিসাবে বিবেচিত হবে।