Industry: মাত্র ২০ শতাংশ জমি ব্যবহার করেছেন জিন্দলরা, সৌরভের কথায় এবার স্বপ্ন বুনছে শালবনি

পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ইস্পাত কারখানা গড়ার কথা জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। স্পেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল সৌরভের। তারপরই তিনি এনিয়ে কথা দেন। এরপর থেকেই স্বপ্ন বুনছে শালবনি।

তবে সূত্রের খবর, প্রায় বছর ১৫ আগে শালবনিতে জিন্দলদের জন্য় জমি দেওয়া হয়েছিল। তখন বাম জমানা। সেই সময় তাদের ৪১০১.৯৭ একর জমি দেওয়া হয়েছিল। সেখানকার ৮৪৯.০২ একর জমিতে সিমেন্ট তৈরির কারখানা হয়েছে বলে খবর। রঙ তৈরির কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০.৭০ শতাংশ জমি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বাকি জমি এখনও অব্যবহৃত। প্রায় ৭৯.৩০ শতাংশ জমিতে এখনও পরিত্য়ক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে কিছুই করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে সেই জমির অনেকটাই আবার সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

তবে মাসখানেক আগে থেকেই জিন্দলদের হাতে থাকা সেই জমির মাপজোক করে দেখেছিল জেলা প্রশাসন। ভূমি রাজস্ব দফতর আবার পুরানো ফাইলগুলি খুলে নথি মেলানোর কাজ শুরু করে। মোটামুটি একটা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য় আগেই জানিয়েছিলেন, জিন্দলরা কিছু জমি ফেরত দিচ্ছেন। তাতে নতুন কর্মসংস্থান হবে।

তবে ইস্পাত কারখানা গড়ার জন্য কতটা জমি দেওয়া হবে সৌরভকে সেটাই এখন দেখার।

এদিকে ওই জমিতে সিমেন্ট কারখানা প্রথম দফায় চালু হয়েছিল। এরপর তার সম্প্রসারণ করা হয়। স্থানীয় স্তরে কিছু কর্মসংস্থান হয়েছে। এরপর রঙের কারখানা তৈরি করার কাজ চলছে। সেখানেও নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। ফুটবল আকাদেমি, কৃষি খামার, ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্রও আছে।

তবে শুধু শালবনিতেই নয়, বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেই শিল্পের জন্য জমি নিয়ে ফেলে রাখার নজির রয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই জমি কতটা ফেরত নেওয়া হবে, আদৌ হবে কি না সেটাও দেখার। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তেও পড়ে রয়েছে শিল্পের জন্য় বরাদ্দ জমি। সেই জমিতে কেন শিল্প তৈরি হল না সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।