Modernisation of jetties: জেটিঘাট আধুনিকীকরণে ১০০০ কোটি বরাদ্দ, সেতুগুলিতে ভার কমাতে চায় বাংলা

রাজ্য সরকার বারে বারে গঙ্গার দু’ধারের সৌন্দর্যায়নে জোর দিয়েছিল আগেই, এবার গঙ্গার ফেরিঘাটগুলির আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব আরোপ করছে সরকার। সম্প্রতি বিপুল অংকের অর্থ বরাদ্দ হয়েছেন এই ফেরিঘাটগুলি আধুনিকীকরণের কাজে। বিশ্বব্যাঙ্ক এবং রাজ্য সরকার মিলিয়ে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা নূরপুর থেকে নদীয়ার কল্যানী পর্যন্ত ১৪০টি ঘাট সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করেছে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, বিশ্বব্যাঙ্ক এজন্য ৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে এবং রাজ্য সরকার দিয়েছে আরও ৩০০ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘২৯ টির কাজ অনেকটা হয়ে গিয়েছে। ২২টি ভেসেল দেওয়া হয়েছে, আরও ভেসেল দেওয়া হবে গঙ্গা বক্ষে পরিবহণের জন্য।

চলতি মাসেই হাওড়া, হুগলি, নদীয়া এবং উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পুরপ্রধানদের নিয়ে কলকাতায় একটি বৈঠকে বসেন পরিবহণ মন্ত্রী এবং পুর ও নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, হুগলির কোন্নগর, বল্লভপুর, চাপদানি, গৌড়িহাটি, বাঁশবেড়িয়া এই জেটিঘাট প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এই প্রত্যেকটি ঘাটের ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য খরচ হবে ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। এই ঘাটগুলির তুলনায় চুঁচুড়ার জেটিঘাট আরও ঢেলে সাজানো হবে যেহেতু চুঁচুড়ার ঘাটটি টার্মিনাল ঘাট হিসাবে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত আগের বৈঠকেই এই সমস্ত ফেরিঘাটগুলির চারপাশে গাছ লাগানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পুরপ্রধানদের অনুরোধ জানিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী৷

জলপরিবহণ দপ্তর গঙ্গায় সেতুগুলির ওপরে চাপ কমাতে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারের ক্ষেত্রে জলপথকে বেশি করে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করছে। পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, হুগলির সদর শহর চুঁচুড়া ফেরি ঘাট হবে টার্মিনাল জেটিঘাট। সেখানে স্মার্ট গেট থেকে ক্যাফেটেরিয়া সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধাই মিলবে। নতুন করে যে সমস্ত ভেসেল দেওয়া হবে, সেগুলি হবে ব্যাটারি চালিত। ই-চার্জিংয়ের পরিকাঠামোও নির্মাণ করা হবে৷

পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাসিশ চক্রবর্তী আরও জানান, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, নিবেদিতা সেতু এবং ত্রিবেনীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে পরিবহণের ভার কমানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। গঙ্গার ওপর এই তিনটি সেতুর পাশাপাশি যেখানে অ্যাপ্রোচ রোডের সুবিধা আছে, সেখানে ট্রাক পারাপারের চিন্তাভাবনা চলছে জলপথে। ঈশ্বর গুপ্ত সেতু হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া জেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলেও এটি বেশ দুর্বল এবং ভারী গাড়ি চলাচল এখানে বন্ধ। এই কারণেই এই বিকল্প সিদ্ধান্ত অনেকটাই পরিবহণ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির সম্ভাবনার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান, এমনই জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী।