দিন কয়েক আগেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তিনি বলেছিলেন ক্ষমতায় আসার পরের দিন তিন ঘণ্টার মধ্যে হলদিয়া থেকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে উৎখাত করা হবে। তিনি শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা। এবার সেই শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ক্ষমতায় এলে আবার পঞ্চায়েত ভোট হবে।
বীরভূম জেলার সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন ছিল। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন ক্ষমতায় এলে ছ মাসের মধ্য়ে ভোট করে মানুষের পঞ্চায়েত গড়বেন।
তিনি জানিয়েছেন, আমরা যে দিন ক্ষমতায় আসব তৃণমূলের চোর, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা. গণনায় কারচুপি করা ও বিডিও আইসিদের দ্বারা নির্বাচিতরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। ছয় মাসের মধ্য়ে নতুন পঞ্চায়েত গড়ব।
কার্যত বড় হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। যে পঞ্চায়েত ভোট এবার হিংসা কবলিত হয়েছিল, ক্ষমতায় এলে সেই ভোট ফের করানোর কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু। স্বাভাবিক এতে উৎফুল্ল শাসক শিবির। কিন্তু সেখানে প্রশ্ন সেই ভোট কি শান্তিপূর্ণ হবে? সেই ভোটে কি বদলা নেবে গেরুয়া শিবির?
শুভেন্দু সেই সম্মেলনে জানিয়েছেন, বালি চলছে, কয়লা চলছে, ডিসিআর চলছে, চুরি চলছে, ঠিকাদারির ভাগ চলছে, বিরোধীদের উপর অত্য়াচার চলছে….। সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন পুরো ব্যবস্থার নাটের গুরু হচ্ছে তোলাবাজ কয়লা ভাইপো। আগে কেষ্ট হয়ে মুড়ির টিন যেত পিসির কাছে। এখন সরাসরি পুলিশের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে জেলার একাধিক পুলিশ আধিকারিকের নাম তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর হুঁশিয়ারি যেদিন অনুব্রতর কাছে ভাইপো যাবে সেদিন তৃণমূল আর থাকবে না।
কার্যত নয়া শব্দবান ছেড়েছেন শুভেন্দু। মিসাইলও বলা যায়। তবে শাসকদলের প্রশ্ন আগে তো ক্ষমতায় আসুক বিজেপি। তারপর ভাবা যাবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে নানাভাবে শিবিরকে চাঙা রাখার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু। কিন্তু বাস্তবে কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।