বাংলার গ্রামকে ভারতসেরা ঘোষণা করল পর্যটন মন্ত্রক, বিদেশ থেকে টুইট মমতার

আবার দেশের সেরা বাংলা। পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার প্রকল্প সম্মান পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। বাংলার দুর্গাপুজো পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। সদ্য শান্তিনিকতন–কে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এসবের মধ্যেই বিদেশ সফরে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েও দেশের সেরা গ্রামের সম্মানের খবর পেলেন। সেটা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রক। আর তার পরই বাংলার মানুষজনকে বিদেশ থেকেই অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে বারবারই গ্রামবাংলাকে সাজিয়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়কে। অধুনা তাঁর দফতর বদল হয়েছে। আর বারবারই বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার কথা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের এই মন্দির চত্বরে। সেখানে এবার সেই কিরীটেশ্বরী গ্রামকে দেশের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ হিসাবে মনোনীত করল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। আর তাতেই অত্যন্ত খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার বিরোধীরা রাজ্য গোল্লায় গিয়েছে বলে আওয়াজ তোলেন। সেখানে এই সম্মান প্রমাণ করল বিরোধীদের অভিযোগ অমূলক।

ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ অন্যদিকে এই সম্মান পাওয়ার পর বিদেশ থেকেই নিজের আনন্দ তুলে ধরেছেন এক্স–হ্যান্ডেলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, বৃহস্পতিবার তাঁর এক্স–হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। দেশের ৩১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৭৯৫টি আবেদনের মধ্যে ২০২৩ সালের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম প্রতিযোগিতা’ হয়েছিল। সেখানেই এই বাংলার গ্রাম সেরা নির্বাচিত হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হবে পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান। আমি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। জয় বাংলা।’

আরও পড়ুন:‌ রাজ্য সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি ভাড়া নেবে, সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি পরিবহণ দফতরের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বাংলা এর আগেও নানা বিষয়ে সম্মান পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে মুর্শিদাবাদের দহপাড়া রেল স্টেশন থেকে পাঁচ কিমি দূরে কিরীটেশ্বরী গ্রাম। সেখানে রয়েছে প্রাচীন মন্দির। কথিত আছে, এই গ্রামে সতীর মুকুট বা কিরীট পড়েছিল। তাই দেবীকে ‘মুকুটেশ্বরী’ বলেও ডাকা হতো। ১৪০৫ সালে দেবীর প্রাচীন মন্দির ভেঙে যায়। কিন্তু উনবিংশ শতকে লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণ রায় নতুন করে মন্দির নির্মাণ করেন। তারপর মন্দিরের জন্য জমি দান করেছিলেন স্থানীয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মানুষজন বলে জানা যায়। প্রত্যেক পৌষ মাসে মহামায়ার পুজো হয়। তার জন্য মন্দির চত্বরের এই জমিতে মেলা বসে। আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকেন মুসলিম মানুষজনই।