Air India: দুর্ঘটনা রুখতে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেই? এয়ার ইন্ডিয়ার সুরক্ষা কর্তাকে সাসপেন্ড করল DGCA

মঞ্জিরী চিত্রে

ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার চিফ অফ ফ্লাইট সেফটিকে সাসপেন্ড করেছে। একমাসে জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিমান সংস্থার তরফে যে ব্যবস্থা সেটা ঠিকঠাক নয়। এই অভিযোগে ওই বিমান সংস্থার সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থাটি যিনি দেখেন সেই প্রধান আধিকারিককেই একমাসের জন্য সাসপেন্ড করা হল। 

অভ্যন্তরীন অডিট, দুর্ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সহ নানা দিক খতিয়ে দেখার পর শেষ পর্যন্ত তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিজিসিএ সূত্রে খবর, বিমানের সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি নিয়মিত খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হয়। ডিজিসিএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ফাঁক থেকে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল ম্যানপাওয়ার পাওয়া যায়নি। এছাড়াও দেখা গিয়েছে ইন্টারনাল অডিট, স্পট চেক সেগুলি নিয়মমাফিক করা হয়নি। 

এরপরই ডিজিসিএর কাছে যে রিপোর্ট বিমান সংস্থা পাঠিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই সংশ্লিষ্ট যে আধিকারিকরা ছিলেন তাদের শোকজ করা হয়। 

সেই সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছে, যে ধরনের পরামর্শ ডিজিসিএর তরফে দেওয়া হয়েছে সেটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে এবারই প্রথম নয়। গত কয়েকমাস ধরেই ডিজিসিএ টাটার মালিকানাধীন এই বিমান সংস্থার কাজকর্মের উপর নজর রাখছিল। কোনও ক্ষেত্রে সুরক্ষার গলদ থাকছে কি না সেটাও নজরে রাখে ডিজিসিএ। সমস্ত বিমান সংস্থার উপরেই নজরদারি চালায় তারা। তবে এবার বড় পদক্ষেপ নিল তারা। কারণ যাত্রী সুরক্ষা সবার আগে।  

অন্যদিকে ভিস্তারা ও এয়ার ইন্ডিয়ার যুগলবন্দির পর যে নতুন লিভারি আসবে, তাতে লাল, সোনালী রঙের সঙ্গে ভিস্তারা থেকে আসবে পার্পেল রঙটি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার লোগোতে ছিল লাল হাঁস কমলা কোনার্ক চক্র। তবে, এই নয়া রিব্র্যান্ডিং পর এর ছবি কেমন হবে, তা এদিন প্রকাশিত হল। এর আগে, এয়ার ইন্ডিয়াকে অধীগ্রহণের পর টাটাসনস জানিয়েছিল তারা ভিস্তারা ও এয়ার ইন্ডিয়াকে একত্রিত করতে চান। আর তার গোটা প্রক্রিয়া ২০২৪ সালে শেষ হবে।

তবে তার মধ্য়েই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ডিজিসিএ। বলা ভালো সতর্ক করা হল। তবে বিমান সংস্থা অবশ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে। 

.