Derek O’Brien: ১৬টি রাজ্যে ক্ষমতায় NDA, একজনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নেই! রাজ্যসভায় তোপ ডেরেকের

লোকসভাতে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনার সময় তৃণমূল কংগ্রেস দাবি তোলে ২০২৪-র মধ্যে এই বিলকে কার্যকরী করা হোক। রাজ্যসভাতেও এই বিল নিয়ে আলোচনায় একই দাবি তুললেন তৃণমূল সংসাদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি অবশ্য কেন্দ্রকে দুটি বিকল্প দিয়েছেন। প্রথম বিকল্প ২০২৪-এর মধ্যে এই বিলকে কার্যকরী কার হোক। না হলে রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। তবে আরও একটি তৃতীয় বিকল্পও দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, বিজেপি সংসদে তাঁর দল থেকে এক-তৃতীয়াংশ মহিলাকে জিতিয়ে আনুক।

তিনি বলেন, ‘বিজেপি মহিলা ক্ষমতায়নের বিষয়ে যথেষ্ট সিরিয়াস নয়। টিকিট দেওয়া এক জিনিস। আর জেতার যোগ্য এলাকায় টিকিট দেওয়া আলাদা জিনিস। এ প্রসঙ্গে তিনি দুটি উদাহরণ তুলে ধরেন। 

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রীর প্রচার প্রসঙ্গ তুলে ডেরেক বলেন, ‘মিডিয়া, পেশীশক্তি ও দুর্ব্যবহার করে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) উপহাস করেছিলেন। দিদি ও দিদি বলে ব্যঙ্গ করেছিলেন। তাঁর পা ভেঙেছেন। তার পরও তিনি একজন মহিলার মতো তিনি এর উত্তর দিয়েছেন, নরম ভাবে। বাংলার মানুষ তাঁর হয়ে উত্তর দিয়েছে।’

(পড়তে পারেন। পাকিস্তানেও আগামী জানুয়ারির শেষে সাধারণ নির্বাচন, জানাল নির্বাচন কমিশন)

সাংসদ আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পর কী হল? বাংলার স্বাস্থ্য, ভূমি, শিল্প, বাণিজ্য দফতর সব মহিলার নেতৃত্বে। এনডিএ যে ১৬টি রাজ্য রয়েছেে সেখানে কি একজনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পাননি?’

তিনি দ্বিতীয় উহারণ দেন একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে। যে প্রতিবেদনে বলা হয় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘পুরুষরা দেবতা হয়ে ওঠে যখন তারা নারীদের গুণ অর্জন করে আর নারীরা যখন পুরুষের গুণ অর্জন করে তখন তারা রাক্ষস হয়ে ওঠে।’

তিনি বলেন, ‘আপনি একটি বাড়ি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু তার আগে আপনাকে আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’

কয়েক দশক ধরে স্থগিত থাকার পর বুধবার লোকসভায় পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। ৪৫৪ ভোটে পাশ হয়েছে এই বিল। মাত্র দুজন সাংসদ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আজ রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করা হয়। বিরোধীরা বিলটির পক্ষে নীতিগত ভাবে একমত হলেও তারা সরকারের দেওয়া সময়সীমা মানতে নারাজ। সরকারের হিসাব অনুযায়ী বিলটির বাস্তবায়ন হতে ২০২৯ সালের বেশি সময় লাগবে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচন থেকেই বিলটির বাস্তবায়ন হোক।