Illegal nursing training centre: জলপাইগুড়িতে চলছিল বেআইনি নার্সিং ট্রেনিং, প্রতারিত পদ্মশ্রী প্রাপক করিমুল

জলপাইগুড়ি শহরের বুকে বেআইনিভাবে চলছিল একটি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার বুধবারই ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার ওই নার্সিংহোমের কর্ণধারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সমাজসেবী করিমুল হক। তাঁর দাবি, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটির স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন ছাড়াই চলছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর এই নার্সিং সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: শুধু NEET পাশ করলেই নার্সিংয়ে ভর্তি হবে না, শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি

জানা গিয়েছে, ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটির নাম হল দিশারী। ২০১৮ সালে ওই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি এখানে তৈরি করা হয়। আর সেখানে নার্সিং কোর্সের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া হতো লক্ষ লক্ষ টাকা। আর সেই সঙ্গে দেওয়া হতো চাকরির প্রতিশ্রুতি। তবে কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পরও তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন, এই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের সার্টিফিকেটের কোনও বৈধতা নেই। তারপরে ক্ষোভ জমেছে নার্সিং সেন্টারের পড়ুয়াদের মধ্যে। এত বছর ধরে কীভাবে অবৈধভাবে নার্সিং সেন্টারটি চলছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের মদত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার করিমুল হক এই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মার বিরূদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন লিখিতভাবে এই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানোর পাশাপাশি সম্পূর্ণ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য পরিচিত করিমুল হক। এই কাজের জন্য তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে তাঁর অভিযোগ , দিশারী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার তাঁর বিনামূল্যে চলা স্বাস্থ্য শিবিরে ট্রেনিং সেন্টারের বোর্ড লাগায়। তাঁর একটি ঘরে ট্রেনিং সেন্টারও করে। ওই সেন্টারের প্রচারের জন্য তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কর্ণধার আমাকে বলেছিল মেয়েদের নার্সিং ট্রেনিং দেওয়া হবে। এরপর জানতে পারি পয়সার বিনিময়ে তারা মেয়েদের ট্রেনিং দিচ্ছে। এরপর আরও জানতে পারি মেয়েদের ট্রেনিং শেষে যে সার্টিফিকেট দিয়েছে তার কোনও বৈধতা নেই। এরপরেই আমি বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি। উক্ত দিশারী নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার শান্তনু শর্মা আমার মান সন্মান সব ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছেন। আমি।সিবিআই তদন্ত চাইছি।’